ম্যাচ শুরুর আগে সদ্য আন্তঃমহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া রিয়াল মাদ্রিদকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন সেভিয়ার ফুটবলাররা
গত মৌসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছ থেকে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে চলতি মৌসুমে শিরোপা ধরে রাখার শুরুটা প্রত্যাশা অনুযায়ী করতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলিয়ে স্বরূপে ফিরেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। রবিবার সেভিয়ার বিপক্ষেও ৪-২ গোলে অনায়াস জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তাতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সালোনাকে টপকে লিগ টেবিলের দুই নম্বরে উঠে বছর শেষ করতে যাচ্ছে এমবাপে-ভিনিসিয়াসরা।
রবিবার বছরের শেষ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদে খেলতে আসে সেভিয়া। নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে স্বাগতিক শিবির। ম্যাচের ৩৪ মিনিটের মধ্যেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় আনচেলত্তির দল। যার শুরুটা করেন কিলিয়ান এমবাপে। ১০ মিনিটে ফরাসি তারকার গোলেই প্রথম এগিয়ে যায় রিয়াল। সেইসঙ্গে লা লিগার অভিষেক মৌসুমেই প্রতিপক্ষের জালে ১০ বার বল জড়ানোর নজির গড়লেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। এরপর ২০ মিনিটে ফেডেরিকো ভালভার্দে এবং ৩৪ মিনিটে রদ্রিগো গোল করলে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে সেভিয়া।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে সফরকারীদের হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন ইসাক রোমেরো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে রিয়ালের হয়ে আরও একটি গোল করেন ব্রাহিম দিয়াজ। অন্যদিকে রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর মাত্র ৫ মিনিটে আগে রিয়ালের বিপক্ষে আরও একটি গোল করেন দোদি লুকিবাকিও। তাতে কেবল হারের ব্যবধানটাই কমে সেভিয়ার।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে ১৮ ম্যাচ থেকে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে স্প্যানিশ লা লিগার দুই নম্বরে উঠে এসেছে কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ। এই সময়ে ১২ ম্যাচে জয়, ৪টিতে ড্র আর ২টি ম্যাচে হেরেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। সমানসংখ্যক ম্যাচ থেকে ১২ জয়, ৫ ড্র আর ১ হারে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে তাদেরই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এক ম্যাচ বেশি খেলা বার্সেলোনা ১২ জয়, ২ ড্র এবং ৫ পরাজয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে নেমে গেছে।
রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ক্লাব ফুটবলের সুদীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারের ইতি টানেন সেভিয়ার স্প্যানিশ উইঙ্গার জেসুস নাভাস। বিদায়ী ম্যাচ শুরুর আগে তাকে সেভিয়া এবং রিয়াল মাদ্রিদ উভয় দলই গার্ড অব অনার দিয়ে বিশেষভাবে সম্মানিত করে।