ফুটবল তারকা নেইমার জুনিয়র।
আর একটু হলেই যেন আকাশ ছোঁবে। উপর থেকে নীচের দিকে তাকালে মনে হয়, আবাসনের মধ্যে যেন সমুদ্রের ঢেউ খেলে গিয়েছে। আদ্যোপান্ত বিলাসিতায় মোড়া। দুবাইয়ের জাঁকজমকপূর্ণ এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে এমনই একটি পেন্টহাউস কিনেছেন নেইমার জুনিয়র।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দুবাইয়ের বুগাটি রেসিডেন্সে বিলাসপূর্ণ পেন্টহাউস কিনেছেন নেইমার, যার বাজারমূল্য ৪৫৬ কোটি টাকা। পেন্টহাউসটি ৪৪ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য পেন্টহাউসে রয়েছে স্পা থেকে সুইমিং পুল। নেইমারের পেন্টহাউসে মোট ১৮২টি আলাদা ইউনিট রয়েছে। গাড়ি রাখার জন্য রয়েছে দুটি গ্যারাজ। নেইমারের সংগ্রহে বিলাসবহুল গাড়ির সংখ্যা কম নয়। আবাসনের নীচ থেকে যেন গাড়ি নিয়ে সোজা পেন্টহাউসে ওঠা যেতে পারে, তার জন্য রয়েছে আলাদা লিফ্টের ব্যবস্থাও।
পেন্টহাউসের ঘরগুলির দেওয়াল জুড়ে একেবারে মেঝে পর্যন্ত কাচের দরজা-জানলা রয়েছে। দিনের বেলায় ঘরের ভেতর সূর্যালোকের কোনও কমতি হবে না। বেডরুম থেকে শুরু করে বসার ঘরের দেওয়ালে রয়েছে হালকা রং। ঘরের চারদিকে আসবাবপত্রের তেমন বাহুল্য নেই। ঘরের কোণে রাখা রয়েছে বিশাল গাছের টবও। পেন্টহাউসের ভেতর তৈরি করা হয়েছে একটি বার। সেখানে বসেই সুরাপানের ব্যবস্থা রয়েছে।
ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য আলাদা করে সুইমিং পুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকে পুরো দুবাই শহরের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। পেন্টহাউসের মালিকের কোনও রকম অসুবিধা হচ্ছে কি না তা খেয়াল রাখার জন্য সর্বক্ষণ একজন কর্মী রয়েছে।
পেন্টহাউসের বাসিন্দারা খুব সহজেই ঘর থেকে সোজা সমুদ্রসৈকতে যেতে পারেন। ফ্রেঞ্চ রিভেরা সমুদ্রসৈকতে পেন্টহাউস থেকে অবাধ যাতায়াত করা যায়। শরীরচর্চা করার জন্য পেন্টহাউসে রয়েছে আলাদা একটি ফিটনেস সেন্টার। সেখানে রয়েছে আধুনিক সমস্ত যন্ত্রপাতিও।
স্বাদ পরিবর্তনের ইচ্ছা হলে যোগাযোগ করা যেতে পারে পেন্টহাউসের রন্ধনশিল্পীর সঙ্গেও। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী রান্না করে দেবেন তিনি।
পেন্টহাউসের নিজস্ব একটি ক্লাব রয়েছে। সেই ক্লাবের সদস্য ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের অনুমতি নেই সেখানে। পেন্টহাউসের সব কিছুই যেন আধুনিকতা এবং প্রযুক্তি দিয়ে মোড়া। ‘স্মার্ট হোম’-এর সব রকম সুবিধা পাওয়া যাবে নেমারের পেন্টহাউসে।
এম হাসান