খেলোয়াড় তৈরীর উর্বর ভূমি বলা হয় সাতক্ষীরা জেলাকে। ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল, ভলিবল, এ্যাথলেটিক্সসহ ১০০ জনের অধিক কৃতি খেলেয়াড় রয়েছে সাতক্ষীরার জেলায়। নুতন করে যারা খেলায় আসছে তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া, সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে এই জেলা থেকে আরও অনেক খেলোয়াড় উঠে আসবে বলে মনে করেন সাফ জয়ী সাতক্ষীরার তিন কৃতি নারী ফুটবলার । বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যৌথ আয়োজনে তাদেরকে দেয়া গণসংবর্ধনায় নিজেদের অভিব্যাক্তি তুলে ধরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সাতক্ষীরার এই তিন কৃতি নারী ফুটবলার। লাল গালিচা আর জমকালো আয়োজনে বরণ করে এই তিন কৃতি সন্তানকে দেওয়া হয় গণ সবংর্ধনা। সংবর্ধিতরা হলেন অধিনায়ক সাবিনা, ডিফেন্ডার মাসুরা ও আফঈদা । সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান ও জাতীয় ফুটলবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, দুই ডিফেন্ডার মাছুরা পারভীন ও আফঈদা খন্দকার প্রান্তি। এসময় সাতক্ষীরার এই তিন কৃতি খেলোয়াড়ের হাতে সংবর্ধনা স্মারক ও প্রাইজমানি হিসেবে ১ লক্ষ টাকা করে তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
সবংর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ক্রিকেটার সৌম্য-মোস্তাফিজ, ফুটবলার সাবিনা, মাসুরা ও প্রান্তির মতো অনেক কৃতি খেলোয়াড় এই জেলাকে বিশ^ দরবারে পরিচিত করেছে। তারপরও ক্রীড়াঙ্গনে অনেক সমস্যা আছে। স্টেডিয়াম, ক্রীড়া কমপ্লেক্সসহ যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করে জেলাকে এগিয়ে নিতে কাজ করা হবে বলে তিনি আশা ব্যাক্ত করেন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল ও সাবেক ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবুর সঞ্চলনায় আরও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, আফঈদা খন্দকার প্রান্তির বাবা খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষথেকে মীর তাজুল ইসলাম রিপন ও আইনুল ইসলাম নান্টা।
গণ সংবর্ধনা পেয়ে আফঈদা খন্দকার প্রান্তি বলেন, যখনই আমরা ভালো খেলা করে সফলাত অর্জন করি তখনই সাতক্ষীরার মানুষ আমাদেরকে সংবর্ধনা দিয়ে উৎসাহিত করে। এটি আমাদের জন্য অনেক গর্বের। ডিফেন্ডার মাছুরা পারভীন বলেন, খেলায় সফলতা পাওয়ার পর দেশের মানুষ আমাদের যেভাবে সাপোর্ট করে এতে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। সংবর্ধনা দেখে নতুন প্রজন্মের খেলোয়ড়রা আরোও উজ্জিবিত হবে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ক্রিকেট, ফুলবল, হ্যান্ডবল, ভলিবল, এ্যাথলেটিক্সসহ ১০০ জনের অধিক কৃতি খেলেয়াড় রয়েছে সাতক্ষীরার জেলায়। এসব খেলোয়াড়ার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এজন্য এই জেলাকে খেলোয়াড় তৈরীর উর্বর ভূমি বলা হয়। কিন্তু এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। খেলার মাঠ, স্টেডিয়াম, জেমনেসিয়াম, মহিলা হোস্টেলসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে পরবর্তী প্রজন্ম থেকে আমাদের মতো খেলোয়াড় উঠে আসার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে । আজকে আমাদের সংবর্ধনা দিয়ে যেভাবে সম্মানিত করা হয়ছে সেজন্য নিজ জেলার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
সাফ জয়ী সাতক্ষীরার তিন নারী ফুটবলারকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
শীর্ষ সংবাদ: