নারী ফুটবলারদের সঙ্গে করমর্দন করছেন তাবিথ
গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় বহুল আলোচিত বাফুফে নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে অনুমেয়ভাবেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন তাবিথ আউয়াল, যিনি এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে বাফুফের সহসভাপতি ছিলেন। সভাপতি হবার দশ দিন পর আজ বুধবার তিনি বাফুফে ভবনে প্রথমবারের মতো পা রেখেছেন (তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচিত কমিটির অনেকেই)। দেখা করেছেন সবার সঙ্গে। সেই সঙ্গে সদ্য সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী নারী ফুটবলারদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। চ্যাম্পিয়ন নারী দলের সম্মাননা নিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা দারুণ একটি সাফল্য এনেছে। বাফুফে থেকে অবশ্যই তাদের জন্য ঘোষণা থাকবে। সেটা শনিবার আমাদের প্রথম সভার পরই ঘোষণা হবে।’ তাবিথ আরও বলেন, ‘আমরা যাই করছি সেটা শনিবার কমিটির পর আপনারা জানতে পারবেন। চ্যাম্পিয়ন দলকে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সংবর্ধনা জানাতে চায়।’
তবে ২০২২ সাফে জযী হবার পর সাবিনাদের সংবর্ধবনার নামে অনেক প্রতিষ্ঠান নিন্মমানের পুরস্কার দিয়েছিল। যা নিয়ে প্রচুর বির্তক হয়েছিল। সে বিষয়ে তাবিথ ওয়াকিবহাল, ‘আমরা এই বিষয়ে সচেতন থাকব।’ সাফজয়ী দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাবিথ বলেন, ‘নতুন কমিটির যাত্রার শুরুতেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। আবার আরেকদিকে চ্যালেঞ্জও। নারী দল যে স্ট্যান্ডার্ড সেট করেছে, সেটা অন্তত ধরে রাখতে হবে।’
বাফুফে ভবনে তাবিথ মতবিনিময় করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে। যদিও প্রধান নির্বাহী (সাধারণ সম্পাদক) ইমরান হোসেন তুষার এএফসির কর্মসূচিতে দেশের বাইরে থাকায় তিনি থাকতে পারেননি। পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি নতুন সভাপতি অফিস স্টাফদের কিছু গাইডলাইনও দিয়েছেন। তার সময়ে কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি নির্বাহী কমিটির উপস্থিত সবাইকে নিয়েই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। গোলাপ ও রজনীগন্ধা দিয়ে সভাপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০২০ সালের নির্বাচনে তাবিথ স্বল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়ছিলেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহির কাছে, সহ-সভাপতি পদে। তখনই তিনি পণ করেছিলেন, এরপর বাফুফে ভবনে ঢুকলে সভাপতি হয়েই ঢুকবেন। আজ সেটাই করেছেন তিনি।
রুমেল খান