ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১

তরফদারের রণেভঙ্গ!

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল

প্রকাশিত: ২০:৩১, ২০ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ২০:৩৪, ২০ অক্টোবর ২০২৪

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল

তরফদার (বায়ে) ও ইমরুল

বহুল আলোচিত বাফুফে নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল আজ রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত। এদিন নাটকীয়ভাবে সিনিয়র সহসভাপতি পদের মনোনয়ন প্রত্যাহারপত্র জমা দেন তরফদার মো. রুহুল আমিন। তার ব্যাপারে এ নিয়ে আগেই গুঞ্জন ছিল। অবেশেষে সেটাই সত্যি হয়েছে।
তবে তরফদার ভুল জায়গায় ভুল প্রক্রিয়া অবলম্বন করায় ঝামেলাতেও পড়েছেন। দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে তিনি নিজে না এসে প্রতিনিধি পাঠিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারপত্র জমা দেন।

তবে বাফুফে নির্বাচনী বিধিমালায় নির্বাচন সংক্রান্ত সব আবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর করতে হয়। কিন্তু তরফদার সেটা করেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বরাবর। ফলে তরফদারের প্রত্যাহারের আবেদন যথাযথ হয়নি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী তার নাম ব্যালটে থাকার কথা এবং সিনিয়র সহসভাপতি পদে অপর প্রার্থী ইমরুল হাসানকে সেই হিসেবে ভোটেই নির্বাচিত হতে হবে। বর্তমানে ইমরুল বাফুফের সহসভাপতি। 

নিয়মানুযায়ী, আবেদনপত্র না পাঠানোয় তরফদারের আবেদন গৃহীত হবে কি না, এ নিয়ে বিতর্কও উঠেছিল। তবে বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহউদ্দিন জানান, ‘তরফদার রুহুল আমিন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। যে ভুলটি আবেদনপত্রে ছিল (নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন না করে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর করা) সেটি করণিক ভুল। আমরা তাকে সেই ভুল শোধরানোর সময় দিয়েছি। তিনি ভুল শুধরে নতুন করে আবেদনপত্র পাঠালে সেটি গৃহীত হয়েছে।’ 

তরফদার বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঁচটি কারণ দেখিয়ে প্রত্যাহারপত্র দেন। এগুলেঅ হলো : আইন না মেনে ডেলিগেট ফর্ম সরাসরি হাতে হাতে প্রদান করা, ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ এবং বাফুফে থেকে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের স্বাক্ষরকৃত নির্বাচনী বিধিমালা প্রকাশ ও বিতরণ, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কমিশন গঠন (প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে একই পদে পরপর পাঁচবার দায়িত্ব প্রদান করা), নির্বাচন আয়োজনের স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করতে না পারা এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা।

এর আগে ২০২০ সালেও বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েও সরে দাঁড়িয়েছিলেন তরফদার। এবারও শুরুতে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে নমিনেশন নেন সিনিয়র সহসভাপতি পদে। সেখান থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি।

রুমেল  /শহিদ

×