ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১

ইংলিশদের হারাতে মরিয়া সুইসরা

রুমেল খান

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ৫ জুলাই ২০২৪

ইংলিশদের হারাতে মরিয়া সুইসরা

শেষ আটের ম্যাচের আগে অনুশীলনে ইংল্যান্ড দল

দুটিই ইউরোপের দেশ। দুই দেশের নামের সঙ্গেই আছে ‘ল্যান্ড’ শব্দটি। উভয় দলই এখনো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিততে পারেনি। এদের মধ্যে ‘ফুটবলের জনক’ এবং ‘দ্য থ্রি লায়ন্স’ খ্যাত ইংল্যান্ডের ফিফা র‌্যাঙ্কিং ৫, অন্য দল ‘রেড ক্রসেস’ খ্যাত সুইজারল্যান্ডের ১৯। ‘ইউরোপের বিশ্বকাপ’ খ্যাত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে শনিবার দুই দলের একটিকে বিদায় নিতে হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে (ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ডুসেলডর্ফের মার্কার স্পাইল অ্যারেনায়)। যদিও পরিসংখ্যানের বিচারে সুইসদের চেয়ে যোজন ব্যবধানে এগিয়ে ইংলিশরা, তবুও এটাকে পাত্তা না নিয়ে সুইস দলের কোচ প্রতিপক্ষ দলকে হারানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।  
এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ, ইউরো, বিশ্বকাপ বাছাই, ইউরো বাছাই ও ফ্রেন্ডলি... সবমিলিয়ে ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড ২৭ ম্যাচ মুখোমুখি হয়েছে পরস্পরের। জয়ের পাল্লা ভারি ইংরেজ বাহিনীরই। তারা জিতেছে ১৯ ম্যাচে। আর সুইজারল্যান্ড জিতেছে মাত্র ৩ ম্যাচে। বাকি ৫ ম্যাচ ড্র হয়। পরিসংখ্যানটা যদি আরও ছোট, অর্থাৎ ইউরোর ক্ষেত্রে করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে দুদল ৭ ম্যাচে পরস্পরকে মোকাবিলা করেছে। এখানেও জিতেছে বেশি ইংল্যান্ডই, ৫ ম্যাচে। বাকি দুই ম্যাচ ড্র।

তার মানে ইউরোতে এখনো সুইসদের বিরুদ্ধে অপরাজিত আছে ২০২০ ইউরোর রানার্সআপ ইংল্যান্ড। আজকের ম্যাচে সুইজারল্যান্ড জিতে সেমিফাইনালে গেলে তা হবে ইউরোর ইতিহাসে তাদের সেরা অর্জন। ২০২০ ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলাই ছিল তাদের সেরা পারফর্মেন্স।      
এবারের ইউরোতে সুইজারল্যান্ড গ্রুপ পর্বে হাঙ্গেরিকে ৩-১ গোলে হারায়। স্কটল্যান্ড ও জার্মানির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে। দ্বিতীয় রাউন্ডে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারায় ২-০ গোলে। পক্ষান্তরে ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্বে ১-০ গোলে সার্বিয়াকে হারায়। এরপর ডেনমার্কের সঙ্গে ১-১ ও স্লোভেনিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডে ২-১ গোলে হারায় স্লোভাকিয়াকে। 
এবারের আসরে সুইস দল অন্যদের কাছে সমীহ কুড়িয়েছে কারণ তারা স্বাগতিক ও ইউরোর সর্বাধিক চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে রুখে দিয়েছে এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। সুইজারল্যান্ডের ৪৯ বছর বয়সী কোচ মুরাত ইয়াকিন তাই আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হতেই পারেন, ‘জার্মানির বিপক্ষে আমরা ভালো খেলেছিলাম, ইতালির বিপক্ষে ভালো খেলেছিলাম, তারাও বড় একটা দল, তাহলে আমরা ইংল্যান্ডকে কেন হারাতে পারব না? এখন আমরা ভালো মেজাজে আছি। দেখা যাক, কী হয়। এটা ভালো একটা চ্যালেঞ্জ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের জন্য আমার দল প্রস্তুত।’ 
এখন দেখার বিষয়, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সুইজারল্যান্ডকে নিয়ে যেতে পারেন কি না কোচ মুরাত ইয়াকিন।

×