
মাত্র ১৪ বছর বয়সে আইপিএলে অভিষেকের নতুন রেকর্ড
মাত্র ১৪ বছর বয়সে আইপিএলে অভিষেক, আর অভিষেকে নিজের প্রথম বলেই ছক্কায় কাঁপিয়ে দিলেন বৈভব সূর্যবংশী। জয়পুরের মানসিং স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ১৮০ রান তাড়া করতে নেমে সূর্যবংশীর রাজস্থান রয়্যালস আটকে গেছে ১৭৮ রানে। ২ রানে দল হেরে গেলেও সূর্যবংশী গড়েছেন তিন-তিনটি রেকর্ডে।
আইপিএলে সবচেয়ে কম ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে অভিষেকের রেকর্ড এখন তার। পেছনে ফেলেছে ২০১৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৬ বছর ১৫৭ দিনে নামা প্রয়াস রয় বর্মণকে। সূর্যবংশী অভিষেকে প্রথম বোলার হিসেবে পেয়েছিলেন শার্দুল ঠাকুরকে। ভারতের হয়ে ৮৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই পেসারের মুখোমুখি প্রথম বলকেই কাভারের ওপর দিয়ে ছয় মারে সূর্যবংশী।
আইপিএলে সবচেয়ে কম বয়সে ছক্কা মারার রেকর্ডও এখন তারই। এত দিন রেকর্ডটা ছিল রিয়ান পরাগের, যিনি প্রথম ছক্কা মেরেছিলেন ১৭ বছর ১৬১ দিন বয়সে। ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ রান—ইনিংসটা অবশ্য খুব বেশি লম্বা হয়নি।
বিহারের তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা বৈভব চার বছর বয়সে বাবা সঞ্জীব সূর্যবংশীর কাছে ক্রিকেট শেখা শুরু করেন। বাড়ির পিছনে ছোট একটু জায়গা পরিষ্কার করে ছেলেকে ক্রিকেট শেখাতে শুরু করেছিলেন তার কৃষক বাবা।
৯ বছর বয়সে সমস্তিপুর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয় বৈভব। সেখানে আড়াই বছর শেখার পর বিজয় মার্চেন্ট ট্রফির জন্য ট্রায়ালে যায় বৈভব। ভাল পারফর্ম করলেও কম বয়সের কথা ভেবে তাকে স্ট্যান্ড বাই রেখেছিলেন বিহারের অনূর্ধ্ব ১৬ দলের নির্বাচকেরা। সেখানেই চোখে পড়ে যান প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার মণীশ ওঝার। তার পর থেকে তিনিই বৈভবের কোচ।
১২ বছর ২৮৪ দিন বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় মিডল অর্ডার ব্যাটার বৈভবের। ২১১ দিনের জন্য রেকর্ড হয়নি তার। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সব থেকে কম বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার নজির রয়েছে আলিমুদ্দিনের। গত ১ অক্টোবর বেসরকারি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিরুদ্ধে ৫৮ বলে সেঞ্চুরি করে আলোচনায় উঠে আসে ১৩ বছরের বৈভব। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের হয়ে এটাই দ্রুততম সেঞ্চুরি।
আইপিএল নিলামে তার ন্যূনতম দাম ছিল ৩০ লাখ টাকা। নিলামের সঞ্চালিকা মল্লিকা সাগর বৈভবের নাম ঘোষণা করতেই আগ্রহ দেখান দিল্লি । তবে ভবিষ্যতের লগ্নি হিসাবে এগিয়ে যান রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। তারা ১ কোটি ১০ লাখ টাকা দাম দিতে লড়াই থেকে সরে যায় দিল্লি। সেই বৈভব মাতালেন অভিষেকেই।
মিরাজ /রাজু