
মোহামেডানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি উদ্যাপন গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের ইফতেখার হোসেন ইফতির
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শুরুতেই তারকাখচিত মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে পুুঁচকে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। আর তাদের এই জয়ের নায়ক ইফতেখার হোসেন ইফতি। সোমবার আসরের প্রথম দিনেই প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো ইফতেখারের ১০৮ রানে ভর করে ৫০ ওভারের ৮ উইকেটে ২৯৮ রানের বড় স্কোর গড়ে গুলশান।
জবাবে ৪০.২ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয় তামিম ইকবালের মোহামেডান। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ইফতেখার। বিকেএসপির আরেক মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংক জিতেছে ৩ উইকেটে। এদিকে মিরপুরে জাতীয় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর (৫১ বলে ২০) আবাহনী লিমিটেডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের (৯৪ বলে ৯৪) আগ্রহী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে চারে নেমে ১১০ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ইফতেখার। ইবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম, নাসুম আহমেদের মতো বোলারদের সামলে এ কীর্তি গড়েন ২২ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান। ডিপিএলের গত আসরে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির হয়ে লিস্ট ‘এ’ অভিষেক হওয়া ইফতেখারের ১৩ ম্যাচে ছিল না কোনো ফিফটি।
মাত্র ১৫.২৩ গড়ে তিনি করেন ১৯৮ রান, সর্বোচ্চ ৪১। বছর ঘুরতেই এবার নতুন আসরে প্রথম ম্যাচে প্রথম পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংসকে তিন অঙ্কে রূপ দিলেন। পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন। ইবাদতের বলে চার মেরে ৬৬ বলে ফিফটি করেন। সেখান থেকে তিন অঙ্কে যেতে লাগে আর ৩৮ বল। নাসুমের বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে তৃতীয় ছক্কা মারেন তরুণ ব্যাটসম্যান। নব্বই ছুঁয়ে সাইফের পরপর দুই বলে বাউন্ডারি মেরে ৯৯ রানে পৌঁছান তিনি।
পরের বলেই আসে কাক্সিক্ষত মুহূর্ত। পরে সাইফ উদ্দিনের বলেই ছক্কার চেষ্টায় তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় তার ইনিংস। জবাবে মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন আরিফুল হক। অধিনায়ক তামিম ফেরেন ২২ রান করে। ৭ রান করে ইফতির বলে আউট হন মুশফিকুর রহিম। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনী। জবাবে ৪৫ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় অগ্রণী ব্যাংক।
ডানহাতি পেসার শহিদুল ইসলাম ১০ ওভারে ৪৪ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। এরপর সফল রান তাড়ায় তাদের নায়ক অধিনায়ক ইমরুল। অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার অল্পের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন। ৯৪ বল মোকাবিলায় তিনি খেলেন ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তিনি মারেন তিনটি চারের সঙ্গে সাতটি ছক্কা। এছাড়া, সাদমান ইসলাম ৭০ বলে ৪৬ ও অমিত হাসান ৬৩ বলে ৪৪ রান করেন।