বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান হয়েছে। ২০১৩ সালের পর এবারই প্রথম তাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার ৭০ দিনের মাথায় তিনটি ক্যাটাগরিতে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
বিসিবির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, গত ৩০ অক্টোবর বিসিবির ১৫তম বোর্ড সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন। এরই মধ্যে বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হয়েছে।
বিসিবির সর্বশেষ পে-স্কেল সংশোধন করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। তবে পে-স্কেল গঠন হয়েছিল আরও পাঁচ বছর আগে, ২০০৮ সালে। ১১ বছর ধরে বেতন পর্যালোচনা না হওয়ায় কর্মকর্তারা বৈষম্যের শিকার হোন। বর্তমান বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন পে-স্কেল গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে । যা পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে চূড়ান্ত হবে।
বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের চাকরির মেয়াদ বিবেচনায় এনে তিনটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ বছর বা তার বেশি চাকরির মেয়াদ তাদের সর্বোচ্চ ৫০% বেতন বৃদ্ধি, ১০ বছর বা তার বেশি চাকরির মেয়াদ তাদের ২৫% বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্যদের ৫% বেতন বৃদ্ধি।
মোট ৯৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন বেড়েছে। যা টাকার অংকে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। বিসিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে গাড়িচালক পর্যন্ত সবার ক্ষেত্রেই এই বৃদ্ধি কার্যকর হয়েছে।
বিসিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হচ্ছি আমরা। এবার বেতন বৃদ্ধি হওয়ায় আমরা সবাই খুশি। এটি আমাদের কাজের প্রতি উৎসাহ জোগাবে।”
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, “যে কোনো প্রতিষ্ঠানের মতো বিসিবিতেও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বেতন পর্যালোচনা করা হয়। নতুন সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি পুনরায় দেখেছেন এবং এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করেছেন।”
আশিকুর রহমান