সেঞ্চুরিয়ান হেনড্রিকসের উদযাপন
দ্বিতীয় টি২০তে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দক্ষিন আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়নে হাই-স্কোরিং ম্যাচে সাইম আইয়্যুবের (৫৭ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৯৮) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৬ রান করে সফরকারি পাকিস্তান। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় প্রোটিয়ারা। ৬৩ বলে ৭ চার ও ১০ ছক্কায় স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক ওপেনার রিজা হেনড্রিকস।
২০৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা সাউথ আফ্রিকার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন রায়ান রিকেলটন। জাহানদাদ খানের বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনে নেমে টিকতে পারেননি ম্যাথু ব্রিটজ। তাকেও ফিরিয়েছেন জাহানদাদ।
বাঁহাতি পেসারের মিড অনে থাকা শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ক্যাচ দিয়েছেন ১২ রান করা ব্রিটজ। ২৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হেনড্রিকস ও ডাসেন। তাদের দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকে সাউথ আফ্রিকা। যেখানে বেশিরভাগ রানই এসেছে হেনড্রিকসের ব্যাট থেকে। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে তাই ২৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি।
এর মধ্য দিয়ে স্বদেশী কুইন্টন ডি কককে ছাড়িয়ে গেছেন এই ব্যাটার । বাঁহাতি ওপেনারকে ছাড়িয়ে টি২০তে দ. আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৮টি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলার মালিক এখন হেনড্রিকস। শুধু তাই নয় নিজের ক্যারিয়ারসেরা ৮৭ রানকেও ছাড়িয়ে গেছেন। ৫৪ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরিও। তাকে সঙ্গ দেয়া ডাসেন পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৩৩ বলে। দল যখন জয়ের খুব কাছে তখন সাজঘরে ফেরেন হেনড্রিকস।
আব্বাসের বলে মিড উইকেটে থেকে ইরফান খানকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৬৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলা প্রোটিয়া এই ওপেনার। হেনড্রিকসের বিদায়ে ভাঙে ডাসেনের সঙ্গে ১৫৭ রানের জুটি। টি২০তে তৃতীয় উইকেটে দ.আফ্রিকার সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১২ সালে হ্যামিল্টনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রিচার্ড লেভি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের অবিচ্ছিন্ন ১৩৩। এরপর হেনরিখ ক্লাসেন ও ডাসেন মিলে স্বাগতিকদের ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন। ৩৮ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন চারে ডাসেন করেন ৬৬ রান। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন অধিনায়ক ক্লসেন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে রিজওয়ান দ্রুত ফিরলেও বাবর আজম ও সাইম মিলে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়েছেন। জর্জ লিন্ডেকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৩১ রান করা বাবর ভাঙে সাইমের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি। পরবর্তীতে ইরফান ১৬ বলে ৩০ এবং আব্বাস ৪ বলে ১১ রান করেছিলেন। তবে পাকিস্তানের ২০৬ রানের পুঁজিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকা সাইমের।
মিরাজ/ আর কে