ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৬ উইকেট নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ
প্রায় ৮ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ার। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে মাত্র ১৫ টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। অ্যান্টিগায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামার আগে ২৮ ইনিংসে ৩৮ উইকেট নিতে পেরেছিলেন। ৩ বার ৪টি উইকেট শিকার করেন ইনিংসে। অবশেষে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৭ বছর ১১ মাস পর পেয়েছেন প্রথমবার ‘ফাইফারের’ দেখা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫২ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন ৬৪ রান খরচা করে। ফলে চলতি বছর ৩ ফরম্যাট মিলিয়ে তার শিকার ২৪ ম্যাচে ২৭ ইনিংসে ৫২ উইকেট। এ বছর উইকেট শিকারে ৩ নম্বরে তিনি। ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ ৬৪ ও শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৬০ উইকেট নিয়ে তার ওপরে।
২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তাসকিনের। সে বছর ৫ টেস্ট খেলেছেন। এরপর ইনজুরি, ফিটনেস সমস্যা এবং ফর্মহীনতায় দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর টেস্ট দলে আর সুযোগ হয়নি তার। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট দলে ফিরে ৩ টেস্ট, ২০২২ সালে ৪ টেস্ট এবং ২০২৩ সালে ১ টেস্ট খেলেন তিনি। গত বছরের শেষদিকে আবারও ফিটনেসের কারণে লঙ্গার ভার্সন থেকে বিরতি নেন তাসকিন। অবশেষে পাকিস্তান সফরে গত আগস্টে ১টি, ভারত সফরে সেপ্টেম্বরে ১টি টেস্ট খেলেন। ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ও গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে ৪ উইকেট নেন ইনিংসে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩ ফরম্যাটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বাধিক ৫২ উইকেট তার। দ্বিতীয় স্থানে মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৮ উইকেট নিয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসেও নতুন বলে ঝড় তোলেন তিনি এবং উইন্ডিজ টপঅর্র্ডারকে বড় চ্যালেঞ্জে ফেলেন। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান করা মিকাইল লুই ও কেসি কার্টিকে দ্রুতই সাজঘরে ফেরান। ফিরতি স্পেলেও উইন্ডিজ মিডলঅর্ডারে ত্রাস সৃষ্টি করেন তাসকিন। কাভেম হজ ও প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান জাস্টিন গ্রিভসকে শিকার করেন তাসকিন এবং শামার জোসেফকে বোল্ড করে প্রথমবার টেস্ট ক্যারিয়ারে ৫ উইকেটের দেখা পান। পরে কেমার রোচের উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয় ইনিংস গুটিয়ে দেন ১৫২ রানে। ১৪.১ ওভারে ৬৪ রানে ৬ উইকেট তাসকিনের। ম্যাচে ১৪০ রানে ৮ উইকেটও তার ক্যারিয়ারসেরা। এর আগে ১২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।