বাংলাদেশের বোলাররা ভালো বোলিং করলেও আফগানরা লড়াকু পুঁজি গড়েছে
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক ৩০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। ২৯ বছর পর এই ভেন্যুতে ওয়ানডে খেলতে নেমে বাংলাদেশ আগে বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে বেশ ভালোই শুরু করে। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুতেই আফগানদের বিপদে ফেলে বাংলাদেশ। মাত্র ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
তবে পরবর্তীতে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি ও মোহাম্মদ নবির জোড়া ফিফটিতে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে তারা। নবি ৭৯ বলে ৪ চার, ৩ ছক্কায় ৮৪ রান করেন। পরের দিকে তাসকিন আহমেদও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। শেষ পর্যন্ত ২ বল বাকি থাকতেই ২৩৫ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। ৪টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ ও তাসকিন।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম থেকেই বাংলাদেশী পেসারদের দাপটে বিপাকে পড়ে আফগান টপঅর্ডার। দ্বিতীয় ওভারেই ফর্মের তুঙ্গে থাকা ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৫) কট বিহাইন্ড হয়েছে তাসকিন আহমেদের পেসে। এরপর অবশ্য সেদিকউল্লাহ ও রহমত শাহ বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে টিকে থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু মুস্তাফিজ তার জাদু দেখিয়েছেন। ১৩ বলে ২ রান করে রহমত কট বিহাইন্ড হন অষ্টম ওভারে।
দশম ওভারে ৩০ বলে ৩ চারে ২১ রান করা সেদিকউল্লাহ সাজঘরে ফেরেন মুস্তাফিজের বাঁহাতি পেসে এলবিডব্লিউ হয়ে। একই ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাই কট বিহাইন্ড হয়েছেন শুন্য রানে। ফলে ৩৫ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়ে আফগানরা। এরপর হাশমত ও গুলবাদিন নাইব ৩৬ রানের একটি জুটি গড়েন। কিন্তু গুলবাদিন ৩২ বলে ৩ চারে ২২ রানে বিদায় নেন তাসকিনের পেসে।
এরপর হাল ধরেন হাশমত ও নবি। দু’জন ষষ্ঠ উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়েন। দলকেও একটি চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছার পথ করে দেন।
অর্ধশতক হাঁকিয়েই বিদায় নেন হাশমত। তিনি ৯২ বলে মাত্র ২ চারে ৫২ রান করেন। তারপর আফগানদের একাই টেনেছেন নবি। তিনি ৭৯ বলে ৪ চার, ৩ ছক্কায় ৮৪ রান করে বিদায় নেন তাসকিনের বলে।
শেষদিকে নানজেয়ালিয়া খরোত ২৮ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। ৪টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ ও তাস
মামুন/ রিয়াদ