ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১

চেন্নাই ছেড়ে কলকাতার ডেরায় ব্রাভো 

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৭:৪৭, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চেন্নাই ছেড়ে কলকাতার ডেরায় ব্রাভো 

ব্রাভো 

আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন ডোয়াইন ব্রাভো। খেলোয়াড় হিসেবে ২০১১ সালে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে যোগ দেওয়ার পর পান তিনটি শিরোপা জয়ের স্বাদ। ২০২২ সালে আইপিএল থেকে অবসর নেন বিশ্বজুড়ে টি২০’র আইকন ওয়ে ওঠা উইন্ডিজ অলরাউন্ডার।

২০২৩ সালে শিরোপা জেতা চেন্নাইর বোলিং কোচও ছিলেন তিনি। স্বদেশী সিপিএলসহ আরও কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলছিলেন। এবার খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে দেওয়ার পর কোচিং ক্যারিয়ার নিয়ে বড় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাভো। চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ছিন্ন করে কলকাতা নাইট রাইডার্সে মেন্টর হিসেবে যোগ দিয়েছেন ৪১ ছুঁইছুঁই এ তারকা। আগামী মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন শিবিরে যোগ দেবেন। 

চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এক পর্যায়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রধান নির্বাহী ভেঙ্কি মাইসোরের সঙ্গে দেখা করেন ব্রাভো। এরপরই দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি  করতে রাজি হন তিনি। শুধু আইপিএলেই নয়, অন্যান্য টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় নাইট রাইডার্সের ফ্র্যাঞ্চাইজি- সিপিএলে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স, মেজর লিগ ক্রিকেটে লস  অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্স এবং আইএলটি২০তে আবু ধাবি নাইট রাইডার্সেরও মেন্টর হিসেবে কাজ করবেন ব্রাভো।

কলকাতায় গৌতাম গাম্ভিরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ব্রাভো। ২০২৪ আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির শিরোপা জয়ের পথে বড় অবদান রাখা মেন্টর গাম্ভির এখন ভারতের প্রধান কোচ। কলকাতার প্রধান কোচ হিসেবে আছেন চান্দ্রাকান্ত পান্ডিত ও বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন ভারাত আরুন। নাইট রাইডার্সের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাভো,‘সিপিএলে আমি গত ১০ বছর ধরে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের সদস্য। বিভিন্ন লিগে নাইট রাইডার্সের হয়ে ও বিপক্ষে খেলার সুবাদে তারা যেভাবে 
কাজ করে সেটার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে।’

ডেথ ওভারে বোলিংয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিতে যাওয়া ব্রাভো আইপিএলে ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকার। এই টুর্নামেন্টের দুই আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া প্রথম বোলারও তিনি। স্বীকৃত টি২০তে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮২ ম্যাচ খেলে বিদায় নিলেন ব্রাভো। এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৬৩১ উইকেটের রেকর্ড তার। ব্যাট হাতে রান করেছেন ১২৫.৪৪ স্ট্রাইক রেটে ৬ হাজার ৯৭০। টি২১০ ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট ও ৫ হাজার রানের যুগলবন্দি নেই আর কারও। এই সংস্করণে ট্রফি জিতেছেন তিনি ২৬টি। এর চেয়ে বেশি শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন কেবল তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ ও প্রিয় বন্ধু কাইরন পোলার্ড (২৯টি)।

মিরাজ

×