ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১

করাচিতে হচ্ছে না দ্বিতীয় টেস্ট, পুরো সিরিজ রাওয়ালপিন্ডিতে

পিন্ডিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ

মোঃ মামুন রশীদ

প্রকাশিত: ০০:২৩, ১৯ আগস্ট ২০২৪

পিন্ডিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ

রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলবে অতিথি বাংলাদেশ

আগেভাগে পাকিস্তান সফরে গিয়ে লাহোরে ৩ দিন অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ টেস্ট দল। শনিবার গভীর রাতে পৌঁছে ইসলামাবাদে। সেখানেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে পাকিস্তান শাহীন্সের বিপক্ষে প্রথম চারদিনের ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিমসহ টেস্ট দলের ৬ জন। তারা  টেস্ট দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। রবিবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন তারা। সূচি অনুসারে ২১ আগস্ট প্রথম টেস্ট এখানেই শুরু হবে। বাংলাদেশ প্রথম টেস্টের আগে ৩ দিন এই ভেন্যুতে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পাবে।

৩০ আগস্ট দ্বিতীয় টেস্ট করাচিতে হওয়ার কথা থাকলেও সেটি বদলে রাওয়ালপিন্ডিতে আনা হয়েছে। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য করাচি স্টেডিয়ামের সংস্কার চলছে যা ক্রিকেটারদের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং ধূলিবালির কারণে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এই ভেন্যুতে সাধারণত পেসাররা সুবিধা পেয়ে থাকে। তাই স্বাগতিক ব্যাটারদের বিপক্ষে বাংলাদেশী পেসারদের এবং স্বাগতিক পেসারদের বিপক্ষে বাংলাদেশী ব্যাটারদের কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। 
স্বাগতিক পাকিস্তান দল গত কয়েকদিন ধরে পিন্ডিতে অনুশীলন করেছে। তাদের জন্য বেশ পরিচিত উইকেট ও পরিবেশ এখানে রয়েছে। এই মুহূর্তে মাঠের কি অবস্থা সেটি বোঝার ক্ষেত্রেও পাকরা এগিয়ে থাকছে গত কয়েকদিনের অনুশীলনের জন্য। ইতোমধ্যেই তারা ঘোষিত টেস্ট দলে থাকা একমাত্র স্পিনার আবরার আহমেদকে বাদ দিয়েছে। কারণ পিন্ডিতে স্পিনার প্রয়োজন পড়বে না। ব্যাটারদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন যারা প্রয়োজনে স্পিন করতে পারবেন। তাই বোলিং বিভাগটাকে পুরোপুরি পেসনির্ভর সাজাচ্ছে পাকরা।

সেখানে শাহীন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর মতো দুই ভয়ঙ্কও পেসারও আছেন। তাই বাংলাদেশী ব্যাটারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেন তারা নিঃসন্দেহে। এই ভেন্যুতে ২০২০ সালে একটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ এবং ইনিংস ও ৪৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। সেই ম্যাচে পতন ঘটা ৩০ উইকেটের মধ্যে ২০টিই নিয়েছেন পেসাররা। বাংলাদেশের পেসাররাও ভালো করেছেন। এখন দুই টেস্টের সিরিজ পুরোটাই এই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

তাই পেস আক্রমণ দিয়েই বাংলাদেশের একাদশটাকে গড়তে হবে। স্কোয়াডে সাকিব আল হাসান থাকাতে তাই সুবিধাই হয়েছে বাংলাদেশের। তিনি বাঁহাতি স্পিনে অন্যতম শক্তি বাংলাদেশ দলের। এছাড়া ৩ পেসারের সঙ্গে থাকতে পারেন অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ কিংবা আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
পিন্ডির উইকেটে পেসারদের জন্য সবুজ ঘাসের অস্তিত্ব। সেজন্য সিম মুভমেন্টও থাকে। রবিবার প্রথম দিনের মতো এখানে অনুশীলন করতে এসেই উইকেট দেখেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। আরো ২ দিন অনুশীলন করে এই উইকেটের পরিস্থিতি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এই মাঠে হওয়া সব টেস্ট মিলিয়ে পেসাররা সর্বমোট শিকার করেছেন ৩৬৮ উইকেট। অর্থাৎ প্রতি টেস্টে গড়ে ২৮.৩১টি  উইকেট নিয়েছেন।

আর স্পিনাররা ১০৯ উইকেট নিতে পেরেছেন যা টেস্ট প্রতি মাত্র ৮.৩৮টি। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট রাওয়ালপিন্ডিতে পেসারদের জন্য স্বর্গ। এখানে গড় দলগত রান ৩১৬.৬০। তার মানে অনেক রান হয়ে থাকে এই উইকেটে। সে কারণে বাংলাদেশের পেসারদের জন্যও বড় পরীক্ষা থাকবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় নিয়েই আগামী ২ দিনে প্রস্তুত হতে হবে শান্তদের।

×