পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে ভালো ফল পেতে স্পিনারদের সাফল্যের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে অনুশীলন ব্যাহত হয়েছে তাই আগেভাগে পাকিস্তান গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু সেখানে গিয়েও একই আন্দোলনের মধ্যে পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারামুক্তির দাবিতে চলা আন্দোলনের কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ কারণে শান্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ক্রিকেটারদের পরিবার থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে পাকিস্তানে নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যেই আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সেটি জানানো হয়েছে বিসিবি থেকে।
বৃহস্পতিবারও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পূর্ণোদ্যমে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ জানিয়েছেন দলের স্পিনারদের ওপর তার আস্থা রয়েছে এবং তাদের নিয়ে পার্থক্য গড়তেও পারবেন বলে দাবি করেছেন। পুরোদমে চলছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। অবশ্য পাকিস্তান শাহীন্সের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলার কারণে টেস্ট দলের ৬ জন এই অনুশীলনে নেই।
বাকিরা নিক পোথাসের অধীনে ফিল্ডিং অনুশীলন করছেন। এ ছাড়া আন্দ্রে অ্যাডামসের অধীনে পেসাররা অনুশীলন করছেন। একদিন পর লাহোরে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সম্প্রতিই কানাডায় গ্লোবাল টি২০ ফেরত বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তিনিও এদিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। মুশতাক আহমেদের অধীনে নাঈম হাসান ব্যতীত সাকিব আল হাসনসহ বাকি স্পিনাররা স্পিন বোলিংয়ের অনুশীলন করেছেন।
অফস্পিনার নাঈম শাহীন্সের বিপক্ষে ৪ দিনের ম্যাচ খেলছেন। অন্যদিকে প্রথম টেস্টের ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডিতে পুরোদমে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিক পাকিস্তান দল। সিরিজের দুটি ম্যাচেই জেতার জন্য পূর্ণ শক্তির দল ঘোষণা করেছে তারা। পিন্ডিতে পিচ কন্ডিশন থাকবে মূলত পেসারদের অনুকূলে। সেজন্য পাকিস্তান দলে একমাত্র জেনুইন স্পিনার হিসেবে শুধু আবরার আহমেদই আছেন। কিন্তু বাংলাদেশের স্পিন শক্তি নিয়ে মুশতাক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের খুব ভালো স্পিনার আছে। বাংলাদেশের যে স্পিনার আছে, সাধারণতভাবেই তারা খুব খুব ভালো স্পিনার- ম্যাচ উইনার। বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। এটা আমার জন্য দারুণ সম্মানের ওদের সঙ্গে কাজ করা। তারা কোচেবল, এর মানে হচ্ছে কথা শোনে। আমি ভালো সময় কাটাচ্ছি ওদের সঙ্গে। আশা করি একটা পার্থক্য তৈরি করতে পারব।’
মূলত স্পিনারদের নিয়ে টেকটিক্যাল ও টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়েই কাজ করছেন মুশতাক। মুশতাক বলেছেন, ‘আমার লক্ষ্য হচ্ছে টেকটিক্যাল ও টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো বলা। টেকটিক্যালি আপনার স্পিনারদের বলতে হবে কীভাবে অ্যাঙ্গেলটা ব্যবহার করতে হবে, পিচ বুঝতে পারা, কোন জায়গা থেকে বল করতে হবে; কোন ব্যাটারের জন্য কেমন ফিল্ডিং সাজাতে হবে- আপনার যত অভিজ্ঞতাই হোক, এই রিমাইন্ডারগুলো দরকার হবে।’
এ ছাড়া তাদের মধ্যে পুরনো স্কিলের সঙ্গে বিশ্বাসটুকু তৈরি করতে চান মুশতাক। তিনি বলেছেন, ‘নতুন কিছু না। বেসিক ও বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, যার বিশ্বাসটা শক্ত; যখন আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাবেন, ব্রায়ান লারা বা যাকেই বল করেন, যদি বিশ্বাস শক্ত না হয় সে আপনাকে হারিয়ে দেবে।
বিশ্বাসটা শক্ত হতে হবে। এটাতে নজর দিলে বাকি স্কিল এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। আমার কাজ হলো, ওদের বিশ্বাস দিতে হবে তোমরা যে কাউকে হারাতে পারবে।’