অনেকেই মজা করে বলেছিলেন, শনিবারের এই নির্বাচন যেন অনেকটা প্লে-অফ ম্যাচের মতো! গত ২৬ অক্টোবর ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বহুল আলোচিত বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) নির্বাচন। ২১টি পদের বিপরীতে ৪৬ প্রার্থী লড়াই করেন। কিন্তু নির্বাচন যেন ‘শেষ হয়েও হলো না শেষ’। কেননা ২০টি পদের ফলের নিষ্পত্তি হলেও একটি পদের ফল নিষ্পত্তি হয়নি। সেটি সদস্য পদে। আর সেই পদেই শনিবার হয়ে গেল পুনর্নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটির ১৫তম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন সাইফুর রহমান মনি।
ভোটের লড়াইয়ে সাবেক এই ফুটবলার ৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখলাস উদ্দিন পান ৫১ ভোট। দুজনেই অবশ্য জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। গত ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে মনি-এখলাস দু’জনই সমান ৬১টি ভোট পেয়েছিলেন।
মনি জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার। বর্তমানে কোচিং পেশায় জড়িত। অপরদিকে এখলাছ উদ্দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। মনি এর আগে তিনবার নির্বাচন করেও জিততে পারেননি। অবশেষে চতুর্থবারের চেষ্টায় সফলকাম হলেন তিনি। প্রবাদে আছে, ‘দান দান তিন দান’। কিন্তু মনির ক্ষেত্রে যেন সেটা হয়ে গেল ‘দান দান চার দান।’
শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাফুফে ভবনে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ১৩৩ কাউন্সিলরের মধ্যে ১০৭ কাউন্সিলর ভোট দেন। এর ১৫ মিনিট পরই বাফুফের নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণা করে। বাফুফের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ১০৭টি ভোটই বৈধ। কোনো ভোট বাতিল হয়নি। সাইফুর রহমান মনি ৫৬ ও এখলাস উদ্দিন ৫১ ভোট পেয়েছেন। বেশি ভোট পাওয়ায় মনি নির্বাচিত।
সাবেক জাতীয় ফুটবলার মনি জয়ের পর তার প্রতিক্রিয়া জানান এভাবে, চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় অবশেষে জিতলাম। একটি সদস্য পদের জন্য কাউন্সিলররা কষ্ট করে এসেছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।