ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

হামজার হলুদ কার্ড জয়ে ফিরল শেফিল্ড

হামজার হলুদ কার্ড জয়ে ফিরল শেফিল্ড

জয়ে ফিরেছে হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড। চ্যাম্পিয়নশিপে টানা তিন ম্যাচ হেরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সরাসরি ওঠার দৌড়ে বেশ পিছিয়েই পড়েছিল তারা। তবে সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। শুক্রবার নিজেদের মাঠে তারা ২-০ গোলে কার্ডিফ সিটিকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রাখল হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড।  নিজেদের মাঠে এদিন ৩৩ মিনিটে গুস্তাভো হ্যামারের দুর্দান্ত গোলে প্রথম এগিয়ে যায় শেফিল্ড ইউনাইটেড। এদিন মাঝমাঠে দারুণ খেলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। কিন্তু ম্যাচের বয়স যখন ৬৯ মিনিট তখনই ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের ৮৭ মিনিটে শেফিল্ডের হয়ে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রেরেটন দিয়াজ। সেই সঙ্গে ৩ পয়েন্টও নিশ্চিত হয় দলের। এই জয়ে ৪৩ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। যেখানে সমান ম্যাচে ৯১ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে রয়েছে লিডস ইউনাইটেড।

খেলা বিভাগের সব খবর

ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে আনচেলত্তি-ক্লপ!

ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে আনচেলত্তি-ক্লপ!

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপ সেরার এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্লাবও লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। কিন্তু এবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে গেছে তারা। তাও আবার আর্সেনালের কাছে দুই লেগেই লজ্জাজনকভাবে হেরে। কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো, বেলিংহ্যামদের নিয়ে এবারও বড় স্বপ্ন দেখেছিল স্পেনের জায়ান্ট ক্লাবটি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়ে যেন বড় এক ধাক্কা খায় রিয়াল মাদ্রিদ।   ফলে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের সফল কোচ কার্লো আনচেলত্তির চাকরি নিয়ে চলছে এখন জল্পনা-কল্পনা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা যায়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রে’র ফাইনালের পরই নাকি বর্ষীয়ান এই কোচকে বিদায় জানিয়ে দিতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পর বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা যদি নতুন কোচ নিতে চায় তবে সেই বিষয়টিকে মেনে নেওয়ার কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। গানারদের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে হারের পর রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেন, কোচ পরিবর্তনের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ক্লাবের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এটা এ বছরই হতে পারে, অথবা আগামী মৌসুমের শেষে আমার সঙ্গে চুক্তি শেষ হবার পরও হতে পারে। কোনোটিতেই আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। তবে একটি কথা বলতে চাই, যেদিনই এই ক্লাব ছেড়ে চলে যাব আমি রিয়ালকে শুধুমাত্র ধন্যবাদ জানাব। এটা আগামীকালও হতে পারে, ১০ দিন, এক মাস অথবা এক বছরও হতে পারে। সবকিছুর পরেও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, তখন আমার সঙ্গে চুক্তি থাকুক বা না থাকুক। রিয়াল বরখাস্ত করলে আনচেলত্তি কেন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দেবেন? তা হয়ত অনেকেরই জানা। রিয়ালের চাকরি শেষেই আনচেলত্তি যে যোগ দিতে পারেন ব্রাজিল শিবিরে। তবে এছাড়াও এই মুহূর্তে আরও বেশ কিছু খবর ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে-বাতাসে।

ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন

ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন

অবিশ্বাস্য! রীতিমতো মহাকাব্যিক এক লড়াইয়ের সাক্ষী হলো ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। রুদ্ধশ্বাস এক লড়াই শেষে ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিওকে অতিরিক্ত সময়ে ৫-৪ গোলে হারিয়ে উয়েফা ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারের টিকিট কাটে রুবেন আমোরিমের দল। ফাইনালেওঠার লড়াইয়ে রেড ডেভিলদের প্রতিপক্ষ এখন স্পেনের অ্যাথলেটিক ক্লাব। এছাড়াও ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার এবং বোডো/গ্লিমিট। তবে বৃহস্পতিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফুটবলপ্রেমীরা যা দেখেছেন তা রীতিমতো অবিশ্বাস্যই বলা চলে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লিওর মাঠ থেকে ২-২ গোলে ড্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নিজেদের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে দ্বিতীয় লেগে অবশ্য দারুণ শুরু করেছিল রুবেন আমোরিমের দল। প্রথমার্ধেই যে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ম্যানইউ। ১০ মিনিটে আলেহান্দ্রো গার্নাচোর পাস থেকে ইউনাইটেডকে প্রথম এগিয়ে দেন মানুয়েল উগার্তে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়োগো দালোত। কিন্তু হাল ছাড়েনি সফরকারী দল। দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ মিনিটে তোলিসো হেডে গোল করে ব্যবধান কমান। ৭৭ মিনিটে নিকোলাস তাগলিয়াফিকো গোল করে লিওকে সমতায় ফেরান। নির্ধারিত সময় শেষের আগের মিনিটে লেনি ইয়োরোকে বাজে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লিওর ফরাসি মিডফিল্ডার তোলিসো। এর পর দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ স্কোরলাইন হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই দেখা যায় রোমাঞ্চকর লড়াই। ১০৪ মিনিটে হায়ান শের্কি গোল করে এগিয়ে দেন লিওকে। তার চার মিনিট পর পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান লাকাজেত। ফলে সেমির স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দেয় তারা। অন্যদিকে স্বাগতিক সমর্থকদের চোখেমুখে চরম হতাশা! কাসেমিরো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে ১১৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় ম্যানইউ। সফল স্পট কিকে গোল করে কিছুটা আশা জাগান ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ১১৯ মিনিট পর্যন্ত গোল না হলে স্বাগতিকদের বিদায় প্রায় নিশ্চিতই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা যেন তখনও বাকি। ১২০ মিনিটে কাসেমিরোর পাস থেকে গোল করে ইউনাইটেডকে সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন কবি মেইনু। পরের মিনিটেই প্রতিপক্ষকে স্তব্ধ করে দুর্দান্ত এক গোল করে লিওর কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে আনেন ইউনাইটেডের হ্যারি ম্যাগুয়ার। ততক্ষণে  উল্লাসে ফেটে পড়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাও।

স্পোর্টিং উইকেটে জয় চান টাইগার কোচ

স্পোর্টিং উইকেটে জয় চান টাইগার কোচ

বিশ্বের যে কোনো দলই নিজেদের কন্ডিশন কাজে লাগাতে চায়। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে দলগুলোর পরিকল্পনাই থাকে পছন্দের উইকেটে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার। সিলেট টেস্ট সামনে রেখে দুটি প্রশ্ন বড় হয়ে সামনে আসছে। প্রথমত, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেমন হবে উইকেট? দ্বিতীয়ত, পঞ্চাশ ওভারের ডিপিএল খেলে লঙ্গার ভার্সনে প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়েই কি মাঠে নামছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল? ফিল সিমন্স তা মনে করেন না। প্রপার উইকেটে ভালো জয় দিয়ে সিরিজ শুরুর প্রত্যয় বাংলাদেশ কোচের কণ্ঠে। ১৮ এপ্রিল শুক্রবার ৬২ বছরে পা রাখা সাবেক এ ক্যারিবিয়ান জন্মদিন উপলক্ষে শিষ্যদের কাছ থেকে স্মরণীয় কিছুই চাইছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশকে সমীহ করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিজ্ঞ জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস। সিলেটে রবিবার শুরু প্রথম টেস্ট। চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ২৮ এপ্রিল থেকে। আমাদের পরিকল্পনা আছে, প্রপার উইকেট (স্পোর্টিং অর্থে) প্রস্তুত করার। আমরা একটা নির্দিষ্ট ওয়েতে খেলি, এ জন্য আমাদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্পিন উইকেট তৈরির দরকার নেই। প্রপার উইকেট বানিয়ে টেস্ট ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব। স্পিন উইকেট বা পেস উইকেট তৈরির দরকার নেই। আমরা উইকেট দেখেছি আজ (শুক্রবার), উইকেট শক্ত, ভালো মনে হচ্ছে; আমাদের দেখতে হবে কাল সকালে কেমন হয়। শুক্রবার সিলেটে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন সিমন্স। ঘরের মাঠে ফেভারিট বাংলাদেশ, তবে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চান কোচ, আমি হোয়াইটওয়াশের ব্যাপারে জানি না। একবারে একটি পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে। এখানে প্রথম টেস্ট হবে। এটি জিতলে আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করব। প্রথম টেস্ট জেতার জন্য আমাদের প্রথম দিন জিততে হবে। আমি এভাবেই ভাবতে পছন্দ করি। এখনই চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবতে পারব না। আপাতত সিলেট টেস্টে মনোযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশ দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই ব্যস্ততা ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। ১৪ এপ্রিল থেকে সিলেটে শুরু হয় জাতীয় দলের প্রস্তুতি। ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার প্রায় চার মাস পর সপ্তাহখানেক অনুশীলন শেষে আবার সাদা পোশাকের ক্রিকেটে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। তবে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি দেখছেন না সিমন্স, প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। এখানকার ফ্যাসিলিটিজ আমার মনে হয় স্বপ্নের মতো। আপনি যা চান, তাই করতে পারবেন। হোটেলটা খুব দূরে নয়। আমরা অনেক কাজ করতে পেরেছি এই অল্প সময়েই। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা সিমন্সকে যদি জন্মদিনের উপহার দিতেই চান, তাহলে কেমন  হয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই বয়সে এখন আর জন্মদিনের উপহার চাওয়ার পর্যায়ে নেই। তারা যদি উপহার দিতে চায়, প্রথম ম্যাচটি জিতলেই হবে (হাসি)। আমার এটুকুতেই হবে। জিম্বাবুয়ের হয়ে এদিন সংবাদ সম্মেলনে আসেন শন উইলিয়ামস। অভিজ্ঞ এ অলরাউন্ডার বলেন, আমার মনে হয় আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। জিম্বাবুয়েতে আমরা গেমটাইম পেয়েছি অনেক। সেখানে পেসাররা বেশ ভালো করেছে। দলের মানসিক অবস্থা এবং পরিবেশ দারুণ। দুর্দান্ত যাচ্ছে সবকিছু। বাংলাদেশের কন্ডিশন নিয়ে উইলিয়ামসের ভাষ্য, এখানে আমার অনেকবার সফর করা হয়েছে। অবশ্যই ঘুম, হাইড্রেশন এবং খাদ্যাভাস ঠিক রাখাটা বেশি জরুরি এখানে, এই প্রান্তে এসে। উইকেট নিয়েও আমাদের প্রস্তুতি চলছে। নেটে খেলা, নিজেদের খেলাটা ঠিক রাখা এবং মনোযোগ নষ্ট হওয়া থেকে দূরে থাকা। এসব ব্যাপারই আসলে বেশি জরুরি। সফরকারী দলে সিলেটের পেসবান্ধব উইকেটে ভালো করার মতো বোলার আছে বলেও জানান উইলিয়ামস, পিচ কিছুটা ভিন্ন লাগছে এবার। আগেরবার লো-স্লো এবং স্পিন সহায়ক মনে হয়েছিল। এবার ঘাস বেশি, পেস সহায়ক। পরিসংখ্যান বলছে এখানে প্রায় ৮০ শতাংশ সময়ে পিচ পেস সহায়ক থাকে। ফলে এবারও তাই থাকবে। আমাদের কিছু স্কিল্ড বোলার আছে, ভালো দক্ষ বোলার আছে, ব্লেসিং (মুজারাবানি), ভিক্টর (নিয়াউচি) ও (ট্রেভর) গুয়ান্দু আছে। আশা করি ভালো লড়াই হবে। দুই দল সর্বশেষ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে ২০২১ সালে। হারারেতে চার বছর আগে সেই টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছিল ২২০ রানে। এবার ক্রেইগ অরভিনের নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে ষষ্ঠবারের মতো টেস্ট খেলতে এসেছে। এর আগে ২০০১, ২০০৫, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসে টেস্ট খেলেছে তারা। সব মিলিয়ে ১০ টেস্টে আফ্রিকার দলটির জয় মাত্র দুটি।