একদিকে ১৩৯ ফিফা র্যাঙ্কিংধারী ‘দ্য বেঙ্গল টাইগ্রেস’ খ্যাত বাংলাদেশ। অন্যদিকে ৯৯ র্যাঙ্কিংধারী ‘নেপালি চেলিস’ খ্যাত নেপাল। হিমালয়কন্যা বনাম বঙ্গকন্যা। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সপ্তম আসরের ফাইনাল আজ বুধবার। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপাল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দুদলই শিরোপা জিততে মরিয়া ও আত্মবিশ্বাসী।
বাংলাদেশের এটা সাফের তৃতীয় ফাইনাল। এর আগে তারা ফাইনালে খেলেছিল ২০১৬ ও ২০২২ সালে। প্রথম ফাইনালে ভারতের কাছে হারলেও পরের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের সেরা অর্জন কুড়িয়ে নিয়েছিল। এবার লাল-সবুজ বাহিনীর সামনে শিরোপা ধরে রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ।
নেপাল হচ্ছে সাফের সেই অভাগা দল, যারা সবচেয়ে বেশিবার (৫ বার, ভারতের সঙ্গে যুগ্মভাবে) সাফের ফাইনাল খেলে একবারও শিরোপা জিততে পারেনি! এটা তাদের ষষ্ঠ ফাইনাল। ভারতের কাছে হারে ২০১০, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৯ আসরে। আর বাংলাদেশের কাছে হারে ২০২২ আসরে।
বাংলাদেশ এবার ছিল এ-গ্রুপে। সেখানে তারা পাকিস্তানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে এবং ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে সেমিতে ওঠে। সেমিতে ভুটানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে ওঠে। পক্ষান্তরে নেপাল ছিল বি-গ্রুপে। সেখানে তারা ভুটানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে হোঁচট খেলেও একে একে ধরাশায়ী করে যথাক্রমে মালদ্বীপকে ১১-০ এবং শ্রীলঙ্কাকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে। সেমিতে তারা রুদ্বশ্বাস ম্যাচে শক্তিশালী ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ (১-১) গোলে হারিয়ে টিকিট কাটে ফাইনালের।
নেপাল এই আসরে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১৮ গোল করেছে। সবচেয়ে কম গোলও (১) হজম করেছ তারা। তবে তাদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে-তাদের টপ গোলস্কোরার রেখা পাউদেল (৭ গোল) সেমিতে লাল কার্ড পাওয়ায় ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তারপরও প্রতিশোধের নেশায় টগবগ করে ফুটছে তারা। কারণ গত আসরে তারা নিজেদের মাঠেই ফাইনালে হেরেছিল বাংলাদেশের কাছে।