ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মনির দান দান চার দান!

মনির দান দান চার দান!

অনেকেই মজা করে বলেছিলেন, শনিবারের এই নির্বাচন যেন অনেকটা প্লে-অফ ম্যাচের মতো! গত ২৬ অক্টোবর ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বহুল আলোচিত বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) নির্বাচন। ২১টি পদের বিপরীতে ৪৬ প্রার্থী লড়াই করেন। কিন্তু নির্বাচন যেন ‘শেষ হয়েও হলো না শেষ’। কেননা ২০টি পদের ফলের নিষ্পত্তি হলেও একটি পদের ফল নিষ্পত্তি হয়নি। সেটি সদস্য পদে। আর সেই পদেই শনিবার হয়ে গেল পুনর্নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটির ১৫তম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন সাইফুর রহমান মনি।  ভোটের লড়াইয়ে সাবেক এই ফুটবলার ৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখলাস উদ্দিন পান ৫১ ভোট। দুজনেই অবশ্য জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। গত ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে মনি-এখলাস দু’জনই সমান ৬১টি ভোট পেয়েছিলেন। মনি জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার। বর্তমানে কোচিং পেশায় জড়িত। অপরদিকে এখলাছ উদ্দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। মনি এর আগে তিনবার নির্বাচন করেও জিততে পারেননি। অবশেষে চতুর্থবারের চেষ্টায় সফলকাম হলেন তিনি। প্রবাদে আছে, ‘দান দান তিন দান’। কিন্তু মনির ক্ষেত্রে যেন সেটা হয়ে গেল ‘দান দান চার দান।’ শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাফুফে ভবনে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ১৩৩ কাউন্সিলরের মধ্যে ১০৭ কাউন্সিলর ভোট দেন। এর ১৫ মিনিট পরই বাফুফের নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণা করে। বাফুফের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ১০৭টি ভোটই বৈধ। কোনো ভোট বাতিল হয়নি। সাইফুর রহমান মনি ৫৬ ও এখলাস উদ্দিন ৫১ ভোট পেয়েছেন। বেশি ভোট পাওয়ায় মনি নির্বাচিত। সাবেক জাতীয় ফুটবলার মনি জয়ের পর তার প্রতিক্রিয়া জানান এভাবে, চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় অবশেষে জিতলাম। একটি সদস্য পদের জন্য কাউন্সিলররা কষ্ট করে এসেছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

খেলা বিভাগের সব খবর

ডারবানে লজ্জার ইতিহাস শ্রীলঙ্কার

ডারবানে লজ্জার ইতিহাস শ্রীলঙ্কার

শ্রীলঙ্কার নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ৫৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। সেটাও আবার টেম্বা বাভুমার কৃতিত্বে। ডারবানের কিংসমিডে স্বাগতিকদের এমন দুর্দাশা দেখেই অনুমাণ করা গিয়েছিল যে সফরকারীদের জন্যও কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। শেষ পর্যন্ত সেই ধারণাই বাস্তবে প্রমাণিত হলো। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪২ রানেই গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা! যা তাদের নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার লজ্জা। এর আগে টেস্টে সর্বনি¤œ ৭১ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার। ১৯৯৪ সালে কেন্ডিতে পাকিস্তানের কাছে সেই পরাজয়ই এতদিন তাদের সর্বনি¤œ রানে অলআউট হওয়ার নজির ছিল। এবার সেটাকেই ছাড়িয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে।  এ ছাড়া তৃতীয় সর্বনি¤œ ৭৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ডটিও সেই ক্যান্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষেই ২০০৬ সালে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটাই অবশ্য সর্বনি¤œ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড নয়? এর আগে আরও দুটি ইনিংস রয়েছে প্রোটিয়াদের। ১৮৯৬ সালে পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্ক স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের কাছে মাত্র ৩০ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ছাড়া নিউল্যান্ডে ১৮৯৯ সালে দ্বিতীয় সর্বনি¤œ ৩৫ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডও রয়েছে প্রোটিয়াদের।  এবার সেই দুই ইনিংস ছাড়িয়ে ৪২ রানে শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করার লজ্জা উপহার দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চোখ রাখা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানের লিড নিয়েছে। লিড বাড়িয়ে নিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করেছে তারা।  টস হেরে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম ইনিংসে ১১৭ বল খেলে ৭০ রান করেন ইনজুরি কাটিয়ে নেতৃত্বে ফেরা টেম্বা বাভুমা। শেষ দিকে কেশব মহারাজের ব্যাট থেকে আসা ২৪ রান দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ত্রিস্তান স্টাবস ১৬ ও কাগিসু রাবাদা ১৫ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার হয়ে কামিন্দু মেন্ডিস ১৩ রান করেন। লাহিরু কুমারা ১০ রান যোগ করেন। আর কেউ ১০ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি।  দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বাঁ-হাতি পেসার মার্কো ইয়ানসেন ১৩ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে শ্রীলঙ্কার হয়ে আসিফা ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা ৩টি করে উইকেট লাভ করেছিলেন।

পর্দা উঠছে বিপিএল ফুটবলের

পর্দা উঠছে বিপিএল ফুটবলের

বাংলাদেশ ২.০ চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে দেশের ফুটবলের মৌসুম শুরু হয়েছিল। এবার পালা ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর, যা শুরু হচ্ছে (প্রথম লেগ) আজ শুক্রবার থেকে। দেশের ৫ ভেন্যুতে ও ১০ ক্লাব অংশ নিচ্ছে এতে। আজ উদ্বোধনী দিনে তিন ভেন্যুতে তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর আড়াইটায় গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে লিগের বর্তমান রানার্সআপ ও ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হবে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব। একই সময়ে মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস নিজেদের মাঠে (কিংস অ্যারেনা) আতিথ্য দেবে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডকে।  গত মৌসুমের মতো এবারও শুধু সপ্তাহের দুদিন (শুক্র ও শনিবার) থাকছে লিগের খেলা। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট পাঁচ ভেন্যুতে হবে লিগ। এবার ভেন্যুর তালিকায় যোগ হয়েছে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়াম। বাদ পড়েছে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম। ভেন্যু সংকট থাকায় একটি মাঠকে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করবে দুটি করে ক্লাব। দেশের দুই জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান ও ঢাকা আবাহনীর হোম ভেন্যু কুমিল্লা, কিংস ও ফার্টিসের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারেনা, ব্রাদার্স ও রহমতগঞ্জের হোম ভেন্যু হিসেবে নিয়েছে মুন্সীগঞ্জকে, দুই নবাগত (বিসিএল থেকে আগত) ওয়ান্ডারার্স ও ইয়ংমেন্সের হোম ভেন্যু গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম আবাহনী ও বাংলাদেশ পুলিশের হোম ভেন্যু ময়মনসিংহ।