ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জনকণ্ঠ প্রতিষ্ঠাতার আজ জন্মদিন

সাহসী সম্পাদক ছিলেন আতিকউল্লাহ খান মাসুদ

কাওসার রহমান

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ২৮ আগস্ট ২০২৪

সাহসী সম্পাদক ছিলেন আতিকউল্লাহ খান মাসুদ

আতিকউল্লাহ খান মাসুদ

সত্য প্রকাশে দ্বিধাহীন সাহসী সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান মাসুদের আজ বৃহস্পতিবার ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ডিজিটাল সংবাদপত্রের জনক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তৎকালীন সফল তরুণ শিল্পপতিদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তিনি বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। 
১৯৯৩ সালে তিনি তাঁর জীবনের সবচেয়ে সফল সংযোজন দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ প্রকাশ করেন। দেশে তখনো বাংলা ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে অন্তরে ধারণ করে এমন পত্রিকা তেমন একটা ছিল না। দৈনিক জনকণ্ঠই প্রথম বাংলাদেশের আত্মপরিচয়কে তুলে ধরতে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেছে। এখনো সেটা করে চলেছে জনকণ্ঠ। এটি সম্ভব হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদের সাহসী অনুপ্রেরণার কারণে। 
শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে অন্তরে ধারণই নয়, আতিকউল্লাহ খান মাসুদই দেশে প্রথম প্রযুক্তিভিত্তিক পত্রিকা বের করার কথা চিন্তা করেন। প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল এক অনন্য অগ্রযাত্রা। কারণ, তখনো দেশে অনলাইন ইন্টারনেটের যুগ শুরু হয়নি।

ফলে নেটওয়ার্ক তৈরি করে দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য স্থানান্তর করা ছিল অকল্পনীয় ব্যাপার। সেই অকল্পনীয় কাজটি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছিলেন জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯৩ সালে বর্তমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সহযোগিতায় মেকিন্টোস কম্পিউটারের রিমোট এক্সেস প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের দূরবর্তী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে ৫টি স্থানে মুদ্রণ যন্ত্র স্থাপন করে ৫ জায়গা থেকে দৈনিক জনকণ্ঠ ছাপার ব্যবস্থা করেন। যা সেই সময় ছিল চরম দুঃসাহসের কাজ। সেই সাহসী কাজটিই বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে করে দেখিয়েছিলেন আতিকউল্লাহ খান মাসুদ।  
বাংলাদেশের প্রথম নেটওয়ার্কভিত্তিক পত্রিকা জনকণ্ঠ। জনকণ্ঠের আগে দৈনিক পত্রিকাগুলো ঢাকায় মুদ্রিত হয়ে সারাদেশে যানবাহনে বাহিত হয়ে প্রচারিত হতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দিনের পত্রিকা দিনে পাওয়া যেত না   মফস্বলে। আতিকউল্লাহ খান মাসুদই সেই অর্গলটা ভেঙে একসঙ্গে দেশের পাঁচ জায়গা যথা- ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া এবং সিলেট থেকে পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন।

দৈনিক জনকণ্ঠের আগে কেউ ভাবতেও পারেনি এমনটি হতে পারে। জনকণ্ঠই প্রথম প্রমাণ করে একটি পুরো পত্রিকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশের ৫ স্থানে প্রেরণ করে হুবহু একই কপি বা রূপান্তরিত-সম্পাদিত পত্রিকা প্রকাশ করা যায়। আতিকউলœাহ খান মাসুদই প্রথম প্রমাণ করেন ভবিষ্যতে পত্রিকার ডিজিটাল যাত্রা অনিবার্য। 
ডিজিটাল পদ্ধতিতে দৈনিক জনকণ্ঠ প্রকাশ করতে গিয়ে জনাব মাসুদ প্রথাগত পত্রিকার খোলনলচেই বদলে ফেলেন। সাংবাদিকতায় আনেন নতুন মাত্রা। সংবাদকর্মীদের প্রথাগত নিউজ প্রিন্টে শিস কলম দিয়ে লেখার অভ্যাসটাকে কম্পিউটার জানা ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানুষে রূপান্তর করেন। 
১৯৯৩ সালের ২১ ফেব্রয়ারি সম্পাদক, মুদ্রাকর ও প্রকাশক হিসেবে তিনি এই জাতীয় দৈনিকটি সর্বপ্রথম অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে দেশের পাঁচ স্থান থেকে একইসঙ্গে প্রকাশ করে সংবাদপত্র শিল্পে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দুরদর্শিতায় খুব দ্রুতই জনকণ্ঠ দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনায় পরিণত হয়। প্রকাশের তিন বছরের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে স্বর্বজনস্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য পত্রিকা হিসেবে দেশের শীর্ষ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়। 
আতিকউল্লাহ খান মাসুদ আড়ালে আবডালে নয়, যে কোনো অবস্থায় সত্য বলতেই প্রত্যয়ী থাকতেন। এটাই ছিল তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অন্যতম একটি দিক। তার মাঝে ক্ষমতার মোহ কোনো দিনও ছিল না। তিনি পত্রিকাকে ব্যবহার করে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেননি। সহজ কোনো পথ দিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ হাতানোর কোনো লোভ লালসাও ছিল না।

প্রচলিত সব নিয়মকানুন মেনেই তিনি তাঁর বাণিজ্যিক ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে সফলতার শীর্ষে পৌঁছেছেন। নিজ গ-ি পেরিয়ে ক্রীড়া জগৎ ছাড়াও খ্যাতিমান অথচ আর্থিকভাবে অসচ্ছল এমন গুণীদের মাসের পর মাস সাহায্য দিয়ে পাশে থেকেছেন। ঢাকায় তীব্র যানজট নিরসনে তাঁর চিন্তা ভাবনায় প্রণীত কিছু পরামর্শ দিয়ে তা সরকারি পর্যায় থেকে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। 
দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২নং সেক্টরের অধীন মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার কমান্ডার হিসেবে তিনি জীবন বাজি রেখে দেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ শেষে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করে সফল শিল্পপতি হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি হয়েও তার মধ্যে অপূর্ণতা থেকে যায়। এই অপূর্ণতা ছিল দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরিয়ে আনার অপূর্ণতা।

দেশের স্বাধীনতার মূল নীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যখন বিপন্ন, বিপন্ন যখন দেশ ও জাতির স্বার্থ, তখন তিনি ভাবেন কিছু একটা করা দরকার। সেই ক্রান্তিলগ্নে তিনি সাহসের সঙ্গে প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধের কণ্ঠস্বর হিসেবে দৈনিক জনকণ্ঠ। এর মধ্য দিয়েই তার সেই অপূর্ণতা পূরণ হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তিনি যে চেতনাকে হৃদয়ে লালন করেন, সেই চেতনার বিকাশ ঘটান তার প্রকাশিত দৈনিক জনকণ্ঠের মাধ্যমে। 
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যাপারে তিনি কখনো আপোষ করেননি। মৌলবাদ, ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িকতা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো কর্মকান্ডে নিরপেক্ষ কোনো অবস্থানও গ্রহণ করেননি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এসবের বিরুদ্ধেই অবস্থান করেছেন। 
প্রতিটি ক্রান্তিকালেই তাঁর জনকণ্ঠ পত্রিকা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে, নির্দ্বিধায় উচ্চারণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আনুগত্য ও অঙ্গীকার এবং কখনোই নিরপেক্ষতার ভান করেনি। পাঠক চায় তার পত্রিকা ন্যায়ের পক্ষে থাকবে, সত্যের পক্ষে থাকবে এবং বাংলাদেশের জটিল রাজনীতির প্রেক্ষাপটে- নিঃশর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকবে। জনকণ্ঠ বরাবরের মতো সেইসব ক্রান্তিলগ্নে সোচ্চার থেকে পাঠকের ওই প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ করেছে।

দুনীর্তির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের পক্ষে আতিকউল্লাহ খান মাসুদের অবস্থান ছিল প্রশ্নাতীত। মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল অনমনীয় দৃষ্টান্ত। অবশ্য এই নির্ভীক সাংবাদিকতার মূল্য দিতে গিয়ে তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, কারাভোগ এবং নির্যাতনও সহ্য করেছেন। 
প্রতিকূল অবস্থায় চরম নির্যাতনের শিকার হয়েও জনকণ্ঠ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান মাসুদ কখনো নীতির প্রশ্নে আপোষ করেননি, বরং অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গেছেন। শুধু তাই নয়, দায়িত্ব নিয়ে সত্য সংবাদ পরিবেশ করেছে। তার জন্য তাঁকে খেসারতও দিতে হয়েছে। তা সত্¦েও সব সময় সত্য প্রকাশ করে গেছেন এই অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা-সম্পাদক। নতুন প্রজন্ম তাঁর জীবন থেকে এই জরুরী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। 
আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ছিলেন আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, মুক্তবুদ্ধির পক্ষের একজন কাজ-পাগল মানুষ। তার অধীনে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনি দারুণভাবে ভালোবাসতেন। সাহসী সাংবাদিকতায় তিনি সব সময় সাংবাদিকদের সমর্থন দিয়ে যেতেন। যে কোনো বিপদে আপদে তিনি তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে রক্ষা করতেন। এটি ছিল তার চরিত্রের একটি বিশেষ দিক। যে কারণে তার পত্রিকায় কাজ শেখাসাংবাদিকরা আজ দেশের প্রধান প্রধান গণমাধ্যমে উজ্জ্বলতা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। 
বাংলাদেশের সংবাদপত্রে শুধু প্রযুক্তিগত বিপ্লবই নয়, বৈচিত্রও নিয়ে আসেন এই সম্পাদক। সৃজনশীলতার নতুন নতুন স্বাক্ষর রাখেন দৈনিক জনকণ্ঠের পত্রিকার পাতায়। তার প্রদর্শিত পথে দৈনিক জনকণ্ঠ এখনো সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এসব সৃজনশীলতা আজ দেশের সংবাদপত্রের এক মূল্যবান সম্পদ। 
রণাঙ্গনের সম্মুখ সমরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান মাসুদ এ দেশের সংবাদপত্র জগতের বহুল আলোচিত ব্যক্তিত্ব। ১৯৯৩ সালে দৈনিক জনকণ্ঠের জন্মলগ্ন থেকে সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে টানা ২৮ বছর সাহসিকতার সঙ্গে তা পালন করে গেছেন। ‘নীতির প্রশ্নে আপোষহীন’ স্লোগানে দৈনিক জনকণ্ঠকে প্রচারে সর্বশীর্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।

ওই সময়ের সর্বোচ্চ প্রযুক্তির সন্নিবেশে দেশের বিভাগীয় শহর থেকে একযোগে দৈনিক জনকণ্ঠের প্রকাশনা ও প্রচারের দুঃসাহসিক কার্যক্রমের উন্মেষ তিনি ঘটিয়েছিলেন। বিশে^র উন্নত দেশগুলোতে এ ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশে তিনিই প্রথম এর উদ্যোক্তা ও বাস্তবায়নকারী। আজ তাঁর জন্মদিনে বলতে হয়, একজন আতিকউল্লাহ খান মাসুদের জন্ম ও জীবন স্বার্থক। 
আতিক উল্লাহ খান মাসুদক সবসময়ই ছিলেন একজন সজ্জন ও ভীষণ সহসী মানুষ। ছিলেন বাংলাদেশ ও এদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির একজন বুদ্ধিবৃত্তিক পুরোধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অনুসারি আতিক উল্লাহ খান মাসুদ ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির একজন বাতিঘর। সংবাদপত্র প্রকাশনার জগতে তিনি দিয়েছেন নতুন মাত্রা। সাম্প্রদায়িকতা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার এই মহান মুক্তিযোদ্ধা নতুন প্রজন্মের সংগঠক ও উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। 
মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ খান মাসুদ ১৯৫১ সালের ২৯ আগস্ট তিনি পৃথিবীর আলো প্রথম দেখেছিলেন ভারতের মিজোরাম প্রদেশের লাংলী জেলার ডিমাগিরি নামক স্থানে। তার পিতা মোহাম্মদ দবির উদ্দিন খান তখন চাকরি করতেন ভারতীয় বন বিভাগে। চাকরির সূত্রে সপরিবারে থাকতেন ওখানে। সেই সুবাদেই তার জম্ম অবিভক্ত ভারতের মিজোরাম প্রদেশে।  
অতন্ত সাহসী জনাব মাসুদ যুব বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ২নং সেক্টরের অধীনস্থ মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা কমান্ডার হিসেবে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেন এবং অনেক বড় বড় অপারেশনে অংশ নেন। বিশিষ্ট এই মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ শেষ করে ১৯৭২ সালে সফলভাবে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে কর্মজীবন শুরু করেন।

সফল তরুণ শিল্পপতিদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তিনি বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত হন। 
বিশাল হৃদয়ের এই মানুষটি হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের ২২ মার্চ ভোরে ইন্তেকাল করেন।

×