ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

অভিষেক রাঙানোর অপেক্ষায়...

প্রকাশিত: ২৩:৪৫, ৩১ মে ২০২৪

অভিষেক রাঙানোর অপেক্ষায়...

.

অপেক্ষার পালা শেষ। রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে টি২০ বিশ্বকাপের দামামা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের আসরের যৌথ আয়োজক। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অনেকেই

ব্যাট-বলে ঝড় তুলবেন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে। তবে অভিষেক টি২০ বিশ্বকাপেই রং ছড়াতে পারেন যারা তাদের নিয়েই এই প্রতিবেদন

তাওহিদ হৃদয় (বাংলাদেশ) ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার নজরে আসেন তাওহিদ হৃদয়। সেবার বাংলাদেশকে প্রথম যুব বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিতে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। এরপর বিপিএলে ২০২৩ আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সিতেও আলো ছড়িয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন এই তরুণ। ব্যাট হাতে নিয়মিত পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে এবারের টি২০ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন হৃদয়। টি২০ ফরম্যাটে ইতোমধ্যেই ২০ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ডানহাতি ব্যাটার। ব্যাটিংয়ে তাঁর কবজির ব্যবহার দেখার মতোই। এই সময়ে ৩০.৬৪ গড়ে ১৩২.৪০ স্ট্রাইকরেটে ৪২৯ রান করেছেন হৃদয়। যেখানে দুটি ফিফটির দেখা পাওয়া ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটারের সর্বোচ্চ ইনিংস ৫৮। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠার আগে ঘরের মাটিতে সর্বশেষ জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষেও হেসেছে তার ব্যাট। ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন তিনি। আমেরিকার বিপক্ষে প্রথম মাচে টাইগাররা হারলেও ফিফটি করে নিজেকে হৃদয় মেলে ধরেন আলাদাভাবে। এবার লাল সবুজ জার্সিতে টি২০ বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণ করার পালা বগুড়া এক্সপ্রেসের।

যশস্বী জয়সওয়াল (ভারত) ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার জায়গা নিশ্চিত ছিল। টপ অর্ডারে জায়গা পাওয়ার জন্য তাই লড়াইটা ছিল শুবমান গিল আর যশস্বী জয়সওয়ালের মাঝে। শেষ পর্যন্ত জয়সওয়ালকেই বেছে নেয় নির্বাচকরা। সেই সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে সময় নেননি তিনিও। স্কোয়াড ঘোষণার পর মাঠে নেমেই দুর্দান্ত খেলছেন ২২ বছর বয়সী এই বাহাতি ব্যাটার।  আইপিএলের শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে নিজের জাত চিনিয়েছেন জয়সওয়াল। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৯৩ রান সংগ্রহ করেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে ১০৪ রানের অপরাজিত আইপিএলে তার প্রথম সেঞ্চুরির কীর্তিও।

ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া) গত বছর থেকে আমূল বদলে গেছেন ট্রাভিস হেড। গড়পড়তা ক্রিকেটার থেকে বনে গেলেনবিগ স্টেজ ম্যান।২০২৩ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপ আর ওয়ানডে বিশ্বকাপ, দুটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ফাইনালের ভাগ্য একাই নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন তিনি। যে কারণেই এবারের টি২০ বিশ্বকাপেও তাঁর ওপর প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাঁকে ঘিরেই পরিকল্পনা আঁটছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের আগে এই ব্যাটারের ওপর প্রত্যাশা মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সৌজন্যে। এই আসরে বোলারদের জন্য রীতিমতো আতঙ্কের নাম ছিলেন হেড। তাঁকে ওপেনিংয়ে ব্যবহার করেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্রায় প্রতি ম্যাচেই অবিশ্বাস্য সূচনা পায়। ব্যাট হাতে এতোটাই দুর্দান্ত ছিলেন যে, ১৪ ম্যাচে ৫৬৭ রান করে আইপিএলের এই সংস্করণে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেন তিনি। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন চারটি। আইপিএল মাতানো হেড এখন অস্ট্রেলিয়ারও অন্যতম ভরসার নাম।

আজম খান (পাকিস্তান) এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বড় চমকের নাম আজম খান। টি২০ ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ঠিকই নিজেকে মেলে ধরেন মঈন খানের ছেলে। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সৌজন্যে লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন এই ব্যাটার। লোয়ার মিডল অর্ডারে ঝড় তোলার সামর্থ্য দেখিয়ে নজর কাড়েন নির্বাচকদের। শুধু পিএসএল নয়, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (সিপিএল) ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেন। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে দারুণ কিছু করে দেখানোর পালা তার অভিষেক বিশ্বকাপে।

মাথিশা পাথিরানা (শ্রীলঙ্কা) স্বদেশী লাসিথ মালিঙ্গার বোলিং অ্যাকশন অনুকরণ করেই আলোচনায় উঠে এসেছিলেন মাথিশা পাথিরানা। মালিঙ্গার মতোই ডেলিভারির সময় নিচ থেকে হাত নিয়ে আসা ভয়ংকর ইয়র্কারে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার দক্ষতা আছে তরুণ উদীয়মান এই পেসারের। গত বছর আইপিএলে এডাম মিলনের বদলি হিসেবে চেন্নাই সুপার কিংসে সুযোগ পেয়েই নিজেকে মেলে ধরেন এই লঙ্কান। আর এবারের আসরে তো রীতিমতো প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পাথিরানা।

×