
ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতি এখন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে বিশ্বের ১০০টি দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার মান তুলে ধরা হয়। এতে উঠে আসে তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফ্রান্স, ভেনিজুয়েলা, নেদারল্যান্ডস এবং চীনের মতো দেশগুলোর নাম, যারা চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে।
বিশেষ করে চীনের একটি চিকিৎসাগত সাফল্য গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ২০১৩ সালে চীনের হুনান প্রদেশের একটি কারখানায় ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় জে ওয়ে নামের এক কর্মীর পুরো ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকেই যেখানে আশা ছেড়ে দিতেন, সেখানে চীনের চিকিৎসকরা নেন এক অভিনব সিদ্ধান্ত।
জে ওয়ের বিচ্ছিন্ন হাতটি সংরক্ষণের জন্য চিকিৎসকরা তা অস্থায়ীভাবে তার পায়ের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। উদ্দেশ্য ছিল, হাতটিতে রক্ত সঞ্চালন চালু রাখা যাতে কোষগুলো জীবিত থাকে এবং ভবিষ্যতে হাতটি পুনঃপ্রতিস্থাপন করা যায়।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এক মাস ধরে সেই হাতটি জে ওয়ের পায়ের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। যদিও তখনও স্নায়ু সংযোগ হয়নি, হাতটি অবচেতন ছিল, তবে রক্ত চলাচলের কারণে তা জীবিত ও উষ্ণ ছিল। জে ওয়ে জানান, শুরুতে পায়ে হাত থাকা অদ্ভুত লাগলেও ধীরে ধীরে তা সহ্য করতে শিখেছিলেন, যদিও তা কিছুটা ভারী মনে হতো।
এক মাস পর সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই হাতটি তার মূল স্থানে পুনরায় প্রতিস্থাপন করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্নায়ু সংযোগ ফিরে আসে এবং ধীরে ধীরে তিনি তার হাতের অনুভূতি ও কার্যক্ষমতা ফিরে পান।
এই ঘটনাটি চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক অনন্য সাফল্যের দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
মারিয়া