
ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইন থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম এখন এটি। ফ্রিল্যান্সিং মুক্তপেশা হওয়ায় মানুষ দিনে দিনে এটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে বর্তমানে অনেক টাকা আয় করা যায়। এজন্য তরুণ-তরুণীরা এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে বর্তমানে বিবেচনা করছে। অনলাইন জগতে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনি তাদের মধ্যে থেকে একটা ভালো মানের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে। তো চলুন, এখন আমরা জানি একজন ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কোন কোন গুণগুলো আমাদের মধ্যে থাকা আবশ্যক:
* যুগান্তকারী উদ্ভাবনী চিন্তা ও নতুন নতুন ধারণা।
* যে কোনো বিষয়ে দক্ষতা।
* সমন্বিত পারদর্শিতা।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য আপনাকে কিছু টিপস ও ট্রিকস অনুসরণ করতে হবে। আমাদের দেওয়া টিপসগুলো অনুসরণ করে কাজ করতে পারেন। প্রথমত, আপনাকে ভালো মানের কোনো কার্যকরী ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিতে হবে। আপনাকে বোঝাতে হবে আপনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। দ্বিতীয়ত, এবার আপনাকে নিজের ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে একটা সুন্দর ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। নিজের ব্যক্তিত্ব ও মনোভাব এমন ভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে হবে যাতে আপনাকে অদ্বিতীয় মনে হয়। তৃতীয়ত, আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার প্রোফাইলটি পুরোপুরি সম্পূর্ণ করতে হবে। এরপর আপনার দক্ষতা অনুযায়ী মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য অনুসন্ধান চালাতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্য বিবেচনা করে বিড করতে হবে। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে শত শত ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে। আপনাকে পছন্দমতো যোগ্যতা অনুযায়ী সেটা নির্বাচন করে নিতে হবে।
চতুর্থত, এই ধাপে আপনাকে কাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে একটা ভালো প্রজেক্ট সাবমিট করতে হবে। খুব সতর্কতার সঙ্গে প্রফেশনালভাবে প্রজেক্ট কমপ্লিট করতে পারলে আপনি সফল হবেন। ভালো প্রজেক্ট কমপ্লিট করার বিনিময়ে আপনি অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন। পঞ্চমত, আপনি ভালোভাবে কাজটি সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টের নিকট সাবমিট করতে পারলে রিওয়ার্ডস পাবেন। আপনার কাজ ভাল লাগলে ক্লায়েন্ট আপনাকে ফাইভ স্টার রিভিউ দেবে। তারা আপনার অন্যান্য দক্ষতাগুলোর তালিকা চাইতে পারে। এজন্য আপনার একটা পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখা ভালো। কাজের বিনিময় হিসেবে আপনাকে ক্লায়েন্ট অর্থ প্রদান করে থাকবে। তখন সেটি আপনি উত্তোলন করে নিতে পারবেন।
সেরা কিছু ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস এর নাম: ফ্রির্যান্সার, গুরু, আপ-ওয়ার্ক, ফাইবার।
আর্টিকেল রাইটিং
আর্টিকেল রাইটিং বলতে একসময় মানুষ বুঝত ওয়েবসাইটের জন্য লেখা। কিন্তু সেই ধারণার বর্তমানে পরিবর্তন এসেছে। এখন আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আর্টিকেল রাইটিং করে প্রচুর পরিমাণ ডলার আয় করতে পারবেন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ঘরে বসে আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়। এমন অনেক সাইট রয়েছে যেগুলো পেমেন্ট বিকাশে দেয়। আপনি যদি লেখালেখি করতে অনেক বেশি পারদর্শী হন, তবে অনলাইনে লেখালেখি আপনার জন্য সর্বোত্তম হবে। অনলাইনে আর্টিকেল লেখার অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়। আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানের আর্টিকেল রাইটার হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য অনেক পথ খোলা রয়েছে। যেসব উপায় ব্যবহার করে আপনি অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করতে পারেন। আপনি নিজস্ব ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানেও দক্ষতার সঙ্গে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। একটা ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ডোমেইন ও হোস্টিং ছাড়া তেমন কিছু লাগে না। আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়া লেখালেখি করে ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। তাহলে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে একসঙ্গে বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় করার অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় একটা কার্যকর মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আমাদের ভাষা বাংলা বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা কষ্টসাধ্য। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটা ইংরেজি ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয়। যেটা প্রথম অবস্থায় তৈরি করা কঠিন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকা একদম বাধ্যতামূলক। কিছু টাকা খরচ করে ডোমেইন-হোস্টিং কিনে আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। একটা টপিক নির্বাচন করে নিয়মিত সম্পর্কিত টপিকের ওপর আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। শুধু আর্টিকেল পাবলিশ করলেই চলবে না। আপনাকে আরও জানতে হবে ওয়েবসাইট এসইও। এসইও করে ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক আনতে হবে। যত বেশি ট্রাফিক হবে তত বেশি আয় হবে।
বর্তমানে বেশি কমিশন দেয় এরকম অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট রয়েছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে মূলত অন্য কোম্পানির পণ্য, সার্ভিস বা সেবা কাস্টমারদের কাছে রেফার করতে হয়! এরপর সেল / লিড থেকে অ্যাফিলিয়েট কমিশন পাওয়া যায়!
কিছু উচ্চ কমিশন দেওয়া অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটের নাম: অ্যামাজন, ক্লিকব্যাংক, আলিএক্সপ্রেস
প্যানেল