
ছবি: সংগৃহীত
বাইকপ্রেমীদের কাছে ইয়ামাহা শুধু একটি ব্র্যান্ড নয়, বরং এটি একটি আবেগের নাম। স্পোর্টি ডিজাইন, উন্নত প্রযুক্তি ও শক্তিশালী পারফরম্যান্সের কারণে ইয়ামাহা তরুণদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
R15-এর স্পিড, MT-15-এর স্টাইল আর FZ-S-এর কমফোর্টের জন্য বাইকগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই বৈচিত্র্যগুলোর কারণে ইয়ামাহাকে করে তুলেছে সবার জন্য উপযোগী। এসব মোটরসাইকেলের আকর্ষণীয় লুক ও স্পোর্টি ফিল তরুণদের স্টাইল এবং অ্যাডভেঞ্চারের চাহিদা পূরণ করে। পাশাপাশি বিশ্বমানের ইঞ্জিন ও জাপানি নির্ভরযোগ্যতা এই ব্র্যান্ডের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বহু গুণ বাড়িয়ে তুলেছে।
চলুন জেনে নেয়া যাক মোটরসাইকেলগুলোর সম্পর্কে
Yamaha R15 V4 : ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ ভি ফোর- বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ সিসির ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ১০,০০০ আরপিএম-এ ১৮.১ হর্সপাওয়ার শক্তি এবং ৭,৫০০ আরপিএম-এ ১৪.২ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। উচ্চ গতির জন্য বাইকটিতে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স ব্যবহার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এতে ডুয়েল চ্যানেল ABS ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির সামনে বাই-ফাংশনাল LED হেডলাইট এবং ডিজিটাল ক্লাস্টার ব্যবহার করা রয়েছে। এই স্পোর্টস বাইকটি অনেকের ‘ড্রিম মেশিন’হিসেবেও পরিচিত।
বাইকটি প্রতি লিটারে ৪০-৪৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম এবং এটি সর্বোচ্চ গতি তুলতে পারবে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। দেশের বাজারে বাইকটির দাম প্রায় ৬ লাখ টাকা।
Yamaha MT-15 V2: ইয়ামাহা এম টি ফিফটিন ভি টু- বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫৫ সিসির ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ১০,০০০ আরপিএম-এ ১৮.৪ হর্সপাওয়ার শক্তি এবং ৭,৫০০ আরপিএম-এ ১৪.১ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। উচ্চ গতির জন্য বাইকটিতে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স ব্যবহার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এতে সিঙ্গেল চ্যানেল ABS ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এই নেকেড বাইকের লুক, ইউএসডি ফর্কস, অ্যাসিমেট্রিক হেডলাইট ডিজাইন, এবং স্ট্রিট ফাইটার স্টাইল এম টি ফিফটিনকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে।
বাইকটি প্রতি লিটারে ৪০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম এবং এটি সর্বোচ্চ গতি তুলতে পারবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত। দেশের বাজারে বাইকটির দাম ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
Yamaha FZ-S Fi V3 (BS6) : ইয়ামাহা এফ জেড-এস এফআই ভি থ্রি (বিএসসিক্স)- বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪৯ সিসির ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ৮,০০০ আরপিএম-এ ১৩.২ হর্সপাওয়ার শক্তি এবং ৬,০০০ আরপিএম-এ ১২.৮ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। উচ্চ গতির জন্য বাইকটিতে ৫-স্পিড গিয়ারবক্স ব্যবহার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এতে সিঙ্গেল চ্যানেল ABS ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। কম বাজেটে প্রিমিয়াম কমফোর্টের জন্য তরুণ রাইডারদের কাছে বাইকটিকে দিয়েছে আলাদা জনপ্রিয়তা।
বাইকটি প্রতি লিটারে ৪০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম এবং এটি সর্বোচ্চ গতি তুলতে পারবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। দেশের বাজারে বাইকটির দাম ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
শহীদ