ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

সোনার খনির খোঁজ মিলেছে মঙ্গলে!

প্রকাশিত: ০২:৫৫, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সোনার খনির খোঁজ মিলেছে মঙ্গলে!

ছবিঃ সংগৃহীত

পৃথিবীর বাইরের মহাজগত কিংবা অন্যান্য গ্রহ সম্পর্কে বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। মহাশূন্যে কিংবা অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহে কী আছে বা প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই অনবরত ব্যস্ত গবেষকরা। আর বিভিন্ন সময় এসব পর্যালোচনা থেকে অনেক সুফলও মিলেছে।

কিন্তু এবার বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে মঙ্গলে খুঁজে পাওয়া গেছে বহু মূল্যবান সোনার খনির সম্ভাবনা।

নাসার পাঠানো রোভার মঙ্গলে এক চমকপ্রদ আবিষ্কার করেছে। সম্প্রতি পাঠানো রোভার একটি পাথরের ছবি তুলে পাঠায়, যা দেখে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সেটি হয়তো স্বর্ণখণ্ড।

নাসার রোভারটি মঙ্গলে চলার সময় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় চাকা আটকে যায়। ঠিক তখনই ওই জায়গার একটি পাথরের ছবি তোলে রোভার এবং তা পাঠায় পৃথিবীতে। আর সেখান থেকেই শুরু হয় বিস্ময়ের সূত্রপাত।

নাসার মতে, ওই পাথরের রঙ, গঠন ও উজ্জ্বলতা অন্য যেকোনো পাথরের তুলনায় একেবারেই ব্যতিক্রম। রোভার গত চার মাস ধরে সাতটি পাথরের ছবি পাঠিয়েছে, যার মধ্যে এটি সবচেয়ে আলাদা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি একটি স্বর্ণখণ্ড হতে পারে। আর যদি তা সত্যি হয়, তাহলে মঙ্গলে সোনার খনি থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এছাড়া, পৃথিবীর মতো মঙ্গলও কোনো এক সময় একটি আগ্নেয় গ্রহ ছিল এবং সেখানে জলও ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানি শুকিয়ে গেলেও তার চিহ্ন হয়তো এখনো মাটির গভীরে রয়ে গেছে।

তবে বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গলের বুকে প্রাণের সঞ্চার হয়নি বলেই হয়তো এসব খনিজ সম্পদ অক্ষত রয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এই ধরনের খনিজের উপস্থিতি থেকে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে।

বর্তমানে, মঙ্গলে জীবনধারণ অসম্ভব। দিন ও রাতের তাপমাত্রার বিশাল তারতম্য এবং অক্সিজেনের অভাব একে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে।

এদিকে, নাসার রোভার ওই সোনালি রঙের পাথরের একটি অংশ সংগ্রহ করে নিজের ভেতরে সংরক্ষণ করেছে। যদি ভবিষ্যতে রোভারকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায়, তবে সেখান থেকে জানা যেতে পারে আরও অনেক চমকপ্রদ তথ্য, যা মানব ইতিহাসের অন্যতম বড় বৈজ্ঞানিক সাফল্যে পরিণত হতে পারে।

তবে রোভার কবে পৃথিবীতে ফিরে আসবে—সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৪০ সালে রোভার ফিরতে পারে পৃথিবীর বুকে।

ততদিন এই আবিষ্কার নিছক কল্পনার মতোই রহস্য হয়েই থাকছে। তবে মঙ্গলের এই সোনার খনি, আপাতত অনুমান হলেও, ভবিষ্যতে হয়তো বাস্তবতায় রূপ নিতে পারে।

সূত্রঃ https://youtu.be/5Ppwob_zVGo?si=obq1JXkPMTNpDOoD

ইমরান

×