
ছবি: সংগৃহীত
অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু মানেই যেন আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু— এটাই সাধারণ ধারণা। কিন্তু বাস্তবতা আরও ভয়াবহ ও জটিল। গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ বলছে, আগুনে "পুড়ে" নয়, বরং মানুষ "গলে" মারা যায়।
মানবদেহ যখন অত্যধিক উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসে— যেমন একটি অগ্নিকাণ্ডে—তখন শরীরের অভ্যন্তরে থাকা চর্বি প্রথমে গলে তরলে পরিণত হয়। এই গলনপ্রক্রিয়াই ধীরে ধীরে দেহকে দাহ্য করে তোলে। অর্থাৎ, শরীরের চর্বি পুরোপুরি গলে না যাওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ দহন বা দেহের সম্পূর্ণ ধ্বংস ঘটে না। তাই বলা যায়, অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর পেছনে রয়েছে এক দীর্ঘ ও নির্মম শারীরিক প্রক্রিয়া।
তবে শুধুমাত্র আগুনের তাপই নয়, মৃত্যুর আরও বড় কারণ হচ্ছে ধোঁয়া। বেশিরভাগ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর মূলে থাকে ধোঁয়া শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ। এতে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটে।
এই নির্মম বাস্তবতা শুধু দহনজনিত ক্ষতির কথা বলে না, বরং মানবদেহের ভেতরে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক রাসায়নিক ও শারীরিক যন্ত্রণার চিত্র তুলে ধরে। অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয়ের ভয়াবহতা বুঝতে হলে, কেবল বাহ্যিক আগুন নয়, দেহের ভেতরে ঘটে যাওয়া জটিল ও ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়াকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।
সূত্র: Sage Journals
এম.কে.