ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

স্মার্টফোন কমানো মানেই মানসিক শান্তি – কীভাবে ডিজিটাল ডিটক্স কাজ করে?

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ১১ এপ্রিল ২০২৫

স্মার্টফোন কমানো মানেই মানসিক শান্তি – কীভাবে ডিজিটাল ডিটক্স কাজ করে?

আজকের দিনে আমরা স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা করতে পারি না। সামাজিক যোগাযোগ, খবর, বিনোদন, এমনকি কাজের সব কিছুই এখন হাতের মুঠোয়। তবে দিনে দিনে এই প্রযুক্তিনির্ভরতা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এখানেই আসে ডিজিটাল ডিটক্স–এর গুরুত্ব।

ডিজিটাল ডিটক্স কী?
ডিজিটাল ডিটক্স বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মোবাইল ফোন, কম্পিউটার বা যেকোনো ডিজিটাল ডিভাইস থেকে বিরতি নেওয়া, যাতে আমরা নিজের উপর মনোযোগ দিতে পারি ও মানসিক চাপ কমাতে পারি।

কেন প্রয়োজন?
মনোযোগ বাড়ায়: বারবার নোটিফিকেশন আমাদের মনোযোগ বিচ্যুত করে। ফোন কমালে ফোকাস বাড়ে।

ঘুম ভালো হয়: রাতে স্ক্রিন টাইম কমালে মেলাটোনিন নিঃসরণ ঠিক থাকে, ফলে ঘুম ভালো হয়।

মানসিক চাপ কমে: সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটালে নিজেকে অপর্যাপ্ত মনে হতে পারে। বিরতি মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।

বাস্তব সংযোগ গড়ে ওঠে: পরিবার ও প্রকৃতির সাথে সময় কাটিয়ে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।

কীভাবে করবেন ডিজিটাল ডিটক্স?
স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করুন: প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন, যেখানে ফোন একদম ব্যবহার করবেন না (যেমন: রাত ৯টা থেকে সকাল ৭টা)।

নোটিফিকেশন বন্ধ করুন: অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন।

ফোন ছাড়া ঘুমান: ঘুমানোর সময় ফোন অন্য ঘরে রাখুন বা ফ্লাইট মোডে রাখুন।

ডিজিটাল হেলথ অ্যাপ ব্যবহার করুন: সময় ট্র্যাক করার জন্য অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন (যেমন: Digital Wellbeing, Forest)।

আনপ্লাগড হবি রাখুন: বই পড়া, গান শোনা, হাঁটতে যাওয়া বা মোমবাতির আলোয় চা খাওয়া—এমন অভ্যাস গড়ে তুলুন।

প্রযুক্তি আমাদের জীবন সহজ করে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতা আমাদের মানসিক শান্তি কেড়ে নিচ্ছে। স্মার্টফোন কমিয়ে ডিজিটাল ডিটক্স–এর মাধ্যমে আমরা নিজের কাছে ফিরে যেতে পারি, পেতে পারি সতেজ মন ও জীবনের ভারসাম্য।

রাজু

×