
ছবিঃ সংগৃহীত
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এবার বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্থাপিত একটি বুথে এই হাইস্পিড ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহার করে দেখানো হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য।
স্টারলিংক বুথে দাঁড়িয়ে সরাসরি ইন্টারনেট সংযোগ গ্রহণ করে এক প্রতিবেদক বলেন, “এই মুহূর্তে আমি যে বুথটিতে দাঁড়িয়ে আছি, এখানে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমি আমার ফোনে স্টারলিংকের সঙ্গে কানেক্ট করে স্পিড টেস্ট করেছি। আমরা প্রায় ১০০ Mbps এর কাছাকাছি ডাউনলোড স্পিড পেয়েছি এবং আপলোড স্পিড ছিল প্রায় ১৮.৭৭ Mbps।”
তিনি আরও জানান, একাধিক ব্যবহারকারীর মধ্যে সংযোগ ভাগাভাগি হওয়া সত্ত্বেও এতো উচ্চ গতির ইন্টারনেট পাওয়া অত্যন্ত আশাজনক। স্টারলিংক কর্তৃপক্ষের মতে, যখন এই সার্ভিস ব্যক্তিগত পর্যায়ে চালু হবে, তখন স্পিড আরও বাড়তে পারে — এমনকি ১৫০ থেকে ২০০ Mbps পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে স্টারলিংক ইতোমধ্যে লাইসেন্স পেয়েছে। এখন বিটিআরসি-তে আবেদন জমা দেবে তারা। বিটিআরসির এনজিও গাইডলাইনের অধীনে বাংলাদেশে একটি গেটওয়ে স্থাপন করতে হবে।
বাংলাদেশের একমাত্র স্যাটেলাইট অপারেটর প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন রয়েছে। আমাদের কারিগরি দক্ষতা ও পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে। স্টারলিংকের সঙ্গে দ্রুত কাজ করলে নির্ধারিত ৯০ কার্যদিবসের মধ্যেই বাংলাদেশে সার্ভিস চালু সম্ভব হবে।”
ইমরান