
ছবি: সংগৃহীত।
বিল গেটস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে যেমন আশাবাদী, তেমনি তার কিছু উদ্বেগও রয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এআই মানবতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুফল বয়ে আনতে সক্ষম, বিশেষ করে প্রাণঘাতী রোগের চিকিৎসা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, এবং সবার জন্য উচ্চমানের শিক্ষা প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তবে, তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে, এআই প্রযুক্তি মাঝে মাঝে ভুল করতে পারে এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা রয়েছে।
গেটস মনে করেন, "কিছু কাজ মানুষই করবে, তবে উৎপাদন, পরিবহন এবং কৃষিক্ষেত্রে এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।" তার মতে, ডাক্তার, শিক্ষকসহ কিছু পেশার অনেক অংশ এআই দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
তবে, গেটস বিশ্বাস করেন যে, এআই একটি বিশাল সুযোগ প্রদান করবে। যদি তিনি এখন নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করতেন, তাহলে সেটি অবশ্যই এআই-কেন্দ্রিক হতো।
প্রায় এক দশক আগে, গেটস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এআই প্রযুক্তি পৃথিবীকে পাল্টে দেবে। ২০১৭ সালে তিনি বলেছিলেন, “এআই নিয়ে যে গবেষণা এখন চলছে, তা অত্যন্ত গভীর এবং ভবিষ্যতে বিশাল পরিবর্তন আনবে।” তিনি গুগলের ডিপমাইন্ড ল্যাবের সাফল্যও উল্লেখ করেন, যেখানে একটি এআই প্রোগ্রাম মানুষকে হারিয়ে 'গো' খেলার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তখন চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি প্রাথমিক অবস্থায় ছিল।
গেটস নিজেও এআই-এর দ্রুত উন্নয়ন দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। তিনি ওপেনএআইকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এমন একটি মডেল তৈরি করতে যা এপি বায়োলজি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করতে পারে। তিনি ভেবেছিলেন, এটি করতে কয়েক বছর লাগবে, কিন্তু ওপেনএআই মাত্র কয়েক মাসে সেই কাজটি সম্পন্ন করে। গেটস এই অর্জনকে প্রযুক্তির ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "এটি ১৯৮০ সালে গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস আবিষ্কারের পর সবচেয়ে বড় উদ্ভাবন।"
বিল গেটস তরুণদের এআই খাতে নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে উৎসাহিত করেছেন এবং বলেছেন, "এটাই ভবিষ্যতের পথ। তোমরা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।"
সায়মা ইসলাম