
ছবি: সংগৃহীত।
জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকর্ষীয় ঘটনা প্রতিনিয়ত মানবজাতিকে বিস্মিত করছে। মহাকাশে প্রায়ই ঘটে চলেছে আশ্চর্যজনক ঘটনা। জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ও সচরাচর দেখা যায় সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ। এমনই এক মহাজাগতিক ঘটনা আসছে ২৯ মার্চ, যখন দুপুরের আলো ম্লান হয়ে যেতে পারে কিছু অঞ্চলে।
কি ঘটবে ওই দিনে?
সূর্যগ্রহণ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা, যা তখনই ঘটে, যখন চাঁদ সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে এসে সূর্যের আলোকে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ঢেকে ফেলে। এই ঘটনা তখনই সম্ভব, যখন চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে।
আগামী ২৯ মার্চ দুপুর ২:৫১ মিনিটে শুরু হবে একটি বলয়াকার সূর্যগ্রহণ। এই সময় পৃথিবীর কিছু অংশে দিনের আলো কিছুটা কমে আসবে, আর আকাশে দেখা মিলবে এক মহাজাগতিক দৃশ্যের। গ্রহণটি সন্ধ্যা ৬:৪৪ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে। তবে এটি বাংলাদেশ থেকে দৃশ্যমান হবে না।
'রিং অব ফায়ার' দেখা যাবে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে
এটি একটি বলয়াকার সূর্যগ্রহণ, অর্থাৎ চাঁদ সূর্যের পুরো অংশ ঢেকে ফেলবে না, বরং চারপাশে একটি উজ্জ্বল বলয়ের মতো আভা সৃষ্টি হবে। এ কারণেই এই দৃশ্য "রিং অব ফায়ার" নামে পরিচিত।
গ্রহণটি ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকার কিছু অংশ থেকে দেখা যাবে, তবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এটি খালি চোখে দেখা সম্ভব হবে না।
সূর্যগ্রহণ দেখার সতর্কতা
সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা একদমই নিরাপদ নয়। এটি চোখের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই যেখানে গ্রহণ দৃশ্যমান হবে, সেখানে বিশেষ ফিল্টারযুক্ত টেলিস্কোপ বা উপযুক্ত চোখের সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে এটি পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই গ্রহণ
২০২৫ সালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা হিসেবে এই গ্রহণকে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এই গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে সৌরজগতের বিভিন্ন গঠনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানতে পারবেন।
যদিও বাংলাদেশ থেকে এটি খালি চোখে দেখা যাবে না, তবে যারা অনলাইনে বা বিশেষ সরঞ্জামের মাধ্যমে এই গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন, তাদের জন্য এটি হবে এক বিরল ও চমৎকার অভিজ্ঞতা।
নুসরাত