ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

মুসলিমদের জন্য ফেসবুকের বিকল্প আলফাফা কমিউনিটি

প্রকাশিত: ০০:০১, ৬ মার্চ ২০২৫

মুসলিমদের জন্য ফেসবুকের বিকল্প আলফাফা কমিউনিটি

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সম্পূর্ণ হালাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আলফাফা। যুক্তরাষ্ট্রের একদল মুসলিম যুবকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে বাংলাদেশসহ ১৬৫টিরও বেশি দেশের মুসলিমরা ব্যবহার করছেন।

আধুনিক যুগে সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। তবে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন কনটেন্ট এবং কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, বিশেষ করে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে। এই পরিস্থিতিতে, অনেক মুসলিম ব্যবহারকারী এমন একটি বিকল্প খুঁজছিলেন, যা সম্পূর্ণ ইসলামিক বিধি-বিধান মেনে পরিচালিত হয়।

আলফাফা এমন একটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম যেখানে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা বা অন্য কোনো অনৈতিক কনটেন্টের স্থান নেই। এটি সম্পূর্ণ ইসলামিক নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়, যেখানে ব্যবহারকারীরা বন্ধু যোগ করতে পারেন, চ্যাট করতে পারেন, স্ট্যাটাস, ছবি বা রিলস আপডেট করতে পারেন—তবে সবই ইসলামিক সীমার মধ্যে থেকে।

এই প্ল্যাটফর্মের অন্যতম বিশেষত্ব হলো, এখানে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস ও ইসলামিক শিক্ষামূলক কন্টেন্ট আপলোড করা হয়। ফলে এটি শুধু একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, বরং ইসলামিক জ্ঞানচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানও বটে।

বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই লক্ষাধিক ব্যবহারকারী আলফাফা ব্যবহার করছেন। প্ল্যাটফর্মটি গুগল প্লে স্টোর থেকে এক মিলিয়নের বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে। অনেক মুসলিম ব্যবহারকারী বলছেন, এটি তাদের জন্য ফেসবুকের আদর্শ বিকল্প, কারণ এখানে তারা নিশ্চিন্তে ইসলামিক বিধান মেনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে হালাল কি না, তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে ইসলামিক স্কলার মুফতি আব্দুল্লাহ তামিম বলেন, "শরীয়তসম্মত বিষয়গুলো সব জায়গায় হালাল, আর যা শরীয়ত গ্রহণ করে না, তা সব জায়গাতেই হারাম। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল বিষয় হলো—আমরা কিভাবে এটি ব্যবহার করছি।"

অর্থাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকৃত ব্যবহার এবং তার কন্টেন্টের প্রকৃতি নির্ধারণ করে এটি হালাল নাকি হারাম হবে। আলফাফা যেহেতু ইসলামিক নীতিমালা মেনে পরিচালিত হয়, তাই এটি নিরাপদ এবং ধর্মীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন অনেকে।

সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে মুসলিমদের জন্য একটি নিরাপদ ও ইসলামিক নীতিতে পরিচালিত বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যারা আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে চান, কিন্তু একই সঙ্গে ইসলামিক বিধি-বিধান মেনে চলতে চান, তাদের জন্য আলফাফা কমিউনিটি হতে পারে একটি উত্তম বিকল্প।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/C8Agtn4V2jI?si=3S94dIouqxEeODBv

এম.কে.

×