
ছবি: সংগৃহীত
ডিজিটাল বিপ্লবের এই যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক হালাল নাকি হারাম, সে বিষয় নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। এই বিতর্কের উর্ধ্বে গিয়েই বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়া শুরু করেছে 'আলফাফা' নামে একটি নতুন সামাজিক মাধ্যম। প্লে-স্টোরে এই প্লাটফর্মটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন পাওয়া যায়, যা ইতোমধ্যে এক মিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একদল মুসলিম যুবক ২০১৪ সালে প্রথম শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'আলফাফা'র কার্যক্রম। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের মুসলমানদের কাছে জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে এই প্লাটফর্মটি। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৬৫টিরও বেশি দেশের মুসলিমরা ব্যবহার করছে এই কমিউনিটিটি।
বলা হচ্ছে, ইসলামিক আইন মেনে সম্পূর্ণ হালাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এই আলফাফা। একজন ব্যবহারকারী জানান, তিনি তিন বছর ধরে এটি ব্যবহার করছেন। অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনা নেই বিধায় তিনি এটি ব্যবহার করেন।
ফেসবুকের মতো আলফাফাতেও আছে বন্ধু যোগ, চ্যাট, স্ট্যাটাস, ছবি বা রিলস আপলোড করার সুবিধা। তবে সবকিছুই হয় ইসলামিক নিয়মে। ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে আপলোড করা হয় কোরআন তেলাওয়াত ও হাদিসসহ বিভিন্ন ইসলামিক কন্টেন্ট।
ইসলামিক চিন্তাবিদ ও বক্তা মুফতি আব্দুল্লাহ তামিমের মতে, শরীয়তসম্মত যে জিনিসগুলো আছে, সেগুলো আসলে সব জায়গাতেই হালাল। আর শরীয়ত যেগুলোকে একসেপ্ট করে না সেগুলো সব জায়গাতেই হারাম। তাই মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় কী করছে, কীভাবে তা ব্যবহার করছে, সেটাই মূল বিষয়।
রাকিব