
প্রযুক্তি দুনিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকারী চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাপ "ডিপসিক" এখন আলোচনায়। এই অ্যাপটির ব্যবহারকারীর তথ্য চীন পাঠানোর অভিযোগে, ডিপসিকের বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে প্রযুক্তি জগতে সবচেয়ে বেশি আলোচিত অ্যাপ হল ডিপসিক। এটি একটি চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানি, যা ওপেন সোর্স ভাষা মডেল তৈরি করে। চীনের হাংচু শহরে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি চীনা হেসফান্ড হাই ফ্লায়ার দ্বারা অর্থায়িত। এর সহপ্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফ্যাং ২০২৩ সালে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ডিপসিক তাদের চ্যাটবোট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উন্মোচন করে। এর পরপরই এটি Apple App Store-এ সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া বিনামূল্যের অ্যাপে পরিণত হয়। তবে এর প্রতিক্রিয়া ছিল চমকপ্রদ।
ডিপসিকের উত্থানে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানির বাজার মূল্য এক ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলার কমে গেছে। এখন, যুক্তরাষ্ট্রে ডিপসিক নিষিদ্ধ হওয়ার পথে।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি আইন অনুযায়ী, ডিপসিক ব্যবহার করলে ৬.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে এবং ২০ বছর পর্যন্ত কারাবাসের শাস্তি হতে পারে। এই আইন প্রয়োগ হলে, সরকারি ডিভাইসসহ অন্যান্য স্থানে এই এআই ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে পারে।
আরও ভয়াবহ হলো, যদি কোনো সংস্থা ডিপসিক ব্যবহার করে, তাহলে তাদের ৬০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
তবে, ডিপসিকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারীর তথ্য চীনে পাঠিয়ে দিচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।এছাড়া, অস্ট্রেলিয়ায় সব সরকারি সিস্টেম থেকে ডিপসিক সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইভাবে, ইতালিতে ডিপসিকের পরিসেবা বন্ধ করেছে দেশটির সরকার।
সূত্র:https://tinyurl.com/mt2upbxk
আফরোজা