
ছবি: সংগৃহীত
ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরালিঙ্ক মস্তিষ্কে ক্ষুদ্র চিপ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে মানব মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
এই প্রযুক্তি স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ সম্ভব করা এবং এমনকি পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের চলাফেরা ও যোগাযোগের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।
সমর্থকদের মতে, নিউরালিঙ্ক পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও স্নায়বিক সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। এটি মানুষের সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ বাড়িয়ে ভবিষ্যতে শুধুমাত্র চিন্তার মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
তবে এই প্রযুক্তি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, মস্তিষ্কে চিপ বসানোর ফলে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং অনুমতি সংক্রান্ত জটিলতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এটি কেবল ধনীদের সুবিধা দিতে পারে এবং সমাজে আরও বৈষম্য তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি, নিউরালিঙ্কের গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে চিকিৎসক মহল থেকেও সমালোচনা উঠেছে।
তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়—আপনি কি নিউরালিঙ্কের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর প্রযুক্তি গ্রহণ করবেন? কেন বা কেন নয়?
সূত্র: ফিজিশিয়ান্স কমিটি ফর রেসপন্সিবল মেডিসিন
এম.কে.