![পৃথিবীর চেয়ে বড় নতুন ‘বাসযোগ্য’ গ্রহ আবিষ্কার পৃথিবীর চেয়ে বড় নতুন ‘বাসযোগ্য’ গ্রহ আবিষ্কার](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/1716719003-2502131347.jpg)
ছবি: সংগৃহীত।
এবার চিলির লা সিলা অবজারভেটরিতে হাই অ্যাকুরেসি রেডিয়াল ভেলোসিটি প্ল্যানেট সার্চার (এইচএআরপিএস) নামের স্পেকট্রোগ্রাফের পুরোনো তথ্য বিশ্লেষণ করে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য একটি নতুন গ্রহের খোঁজ পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, যদিও নতুন গ্রহটির আকার পৃথিবীর চেয়ে বড়, তবে এটি অনেকটাই আমাদের পৃথিবীর মতো। এই গ্রহটি আমাদের পৃথিবী থেকে মাত্র ২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গ্রহটির নাম রাখা হয়েছে এইচডি ২০৭৯৪ডি। নতুন এই গ্রহটির ভর পৃথিবীর ভরের প্রায় ছয় গুণ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, গ্রহটির পৃষ্ঠে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে, যা প্রাণের উপস্থিতির জন্য অপরিহার্য।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পোস্টডক্টোরাল গবেষক ড. মাইকেল ক্রেটিগনিয়ার এই আবিষ্কারটিকে রোমাঞ্চকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মিশন পরিচালনা করে গ্রহটির ছবি তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, এই গ্রহটির কক্ষপথ পৃথিবীর মতো বৃত্তাকার না হয়ে একটি উপবৃত্তাকার পথে ঘোরে, যার ফলে এখানে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ড. ক্রেটিগনিয়ার ২০২২ সালে চিলির লা সিলা অবজারভেটরির এইচএআরপিএস স্পেকট্রোগ্রাফ থেকে সংরক্ষিত তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রহটির অস্তিত্ব নিশ্চিত করেন। প্রাথমিক সংকেত শনাক্ত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক গবেষক দলের সহায়তায় দুই দশকের পর্যবেক্ষণ পর্যালোচনা করা হয় এবং অবশেষে গ্রহটির অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়।
ড. ক্রেটিগনিয়ার বলেন, "এটি আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি মুহূর্ত ছিল, যখন আমরা অবশেষে এই গ্রহের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে সক্ষম হলাম। এটি একটি বিশাল স্বস্তির বিষয় ছিল, কারণ প্রাথমিক সংকেতটি স্পেকট্রোগ্রাফের শনাক্তকরণ সীমার খুব কাছাকাছি ছিল, যা প্রথমে নিশ্চিত করতে অনেক কঠিন ছিল।"
তিনি আরও বিশ্বাস করেন, এই গ্রহটি ভবিষ্যতের মহাকাশ মিশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে এমন মিশনগুলোর জন্য যা দূরবর্তী গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য রাসায়নিক চিহ্ন বা বায়োসিগনেচার খুঁজছে।
এনডিটিভি জানায়, এই গবেষণার ফলাফল জার্নাল অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-এ প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি এক্সোপ্ল্যানেট অনুসন্ধানে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
নুসরাত