![অভ্রের মেহেদীর সাথে কেন আইনি দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন মোস্তফা জব্বার? অভ্রের মেহেদীর সাথে কেন আইনি দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন মোস্তফা জব্বার?](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/6-14-2502110714.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
২০১০ সালের দিকে অভ্র কি-বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসানের সাথে আইনি দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন বিজয় কি-বোর্ডর স্বত্বাধিকারী মোস্তফ জব্বার। তিনি অভ্রকে পাইরেটেড সফটওয়্যার বলে অভিহিত করেন এবং অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পে বাণিজ্যিক বিজয়ের বদলে অভ্র ব্যবহার করায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশে কম্পিউটারে বাংলা লেখার সফটওয়্যার হিসেবে প্রথম থেকেই জনপ্রিয় ছিল বিজয়। এটি একটি বাণিজ্যিক সফটওয়্যার, যার সত্ত্বাধিকারী আনন্দ কম্পিউটার্সের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা জব্বার। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের অর্থ পরিশোধ করতে হয়।
মোস্তফা জব্বার দাবি করেন, ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় কী-বোর্ড ও সফটওয়্যার প্রকাশিত হয় এবং ১৯৮৯ সালেই এর কপিরাইট নিশ্চিত করা হয়। পরবর্তীতে তিনি ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
অন্যদিকে অভ্র একটি বিনামূল্যের ও ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, যা ব্যবহারকারীদের জন্য একদম ফ্রি। তবে ২০১০ সালে এটি বিতর্কের মুখে পড়ে, যখন মোস্তাফা জব্বার এক নিবন্ধে অভিযোগ করেন যে হ্যাকাররা বিজয় সফটওয়্যার চুরি করে অভ্রের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এরপর অভ্র নির্মাতাদের আইনি নোটিশ ও হুমকি দেওয়া হয়। মোস্তাফা জব্বার কপিরাইট অফিসে অভিযোগ করেন যে, অভ্র সফটওয়্যারের "ইউনি বিজয়" লেআউটটি বিজয় কী-বোর্ডের অনুকরণ। ফলে ২০১০ সালের মে মাসে মেহদী হাসান খানকে কপিরাইট অফিস থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে জুন মাসে ঢাকা কম্পিউটার কাউন্সিলে মোস্তাফা জব্বার ও মেহদী হাসান খানের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়। অভ্র টিমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তানবীন ইসলাম সিয়াম জানান, সমঝোতার পর অভ্র থেকে ওই লেআউট সরিয়ে ফেলা হয়। যদিও এটি বিজয়ের হুবহু অনুলিপি ছিল না। তবে কিছু মিল থাকায় তারা এটি মুছে ফেলে।
এই ঘটনার পরও মোস্তফা জব্বার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে অভ্র এখনও বিনামূল্যে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, অন্যদিকে বিজয় বাণিজ্যিকভাবেই বাজারে রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
ইসরাত জাহান