ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১

এআই কমাবে অ্যাপের ব্যবহার

রিফাত আনজুম

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

এআই কমাবে অ্যাপের ব্যবহার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অ্যাসিস্ট্যান্টের ওপর মানুষের নির্ভরতা বাড়ার কারণে দুই বছরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অ্যাসিস্ট্যান্টের ওপর মানুষের নির্ভরতা বাড়ার কারণে দুই বছরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমবে। কানেকটিকাটভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনার প্রকাশিত গত বুধবারের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষের নির্দেশনা মেনে কাজ করতে পারে। প্রযুক্তিটি ব্যবহারকারীর ভাষা বুঝে সঠিক জবাব দেয়া, কাজ সম্পন্ন করা ও বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করার সক্ষমতা রাখে। যেমন চ্যাটজিপিটি, জেমিনি এআই। ২০২২ সালের শেষে চ্যাটজিপিটির উন্মোচনের পর প্রযুক্তি দুনিয়ায় এআই নিয়ে আলোচনা নতুন গতি পায়। বিশেষত, গত বছর স্মার্টফোনে এআই প্রযুক্তি সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে আইফোন, স্যামসাংসহ বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। এআই প্রযুক্তি স্মার্টফোনের কার্যকারিতা আরো উন্নত করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। গার্টনার বলছে, চলতি বছরেই অনেক কাজের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা অ্যাপের পরিবর্তে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স, চ্যাটজিপিটি, গুগল জেমিনি ও মেটা এআইয়ের মতো অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার শুরু করবে। এছাড়া সামনের বছরগুলোয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও কোম্পানি একত্রিত হয়ে তাদের অ্যাপগুলোকে পার্টনারশিপ বা গ্রুপ হিসেবে একীভূত করবে। ফলে একটি অ্যাপের মাধ্যমে বেশিসংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো যাবে। পাশাপাশি অ্যাপ তৈরির ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কমানো যাবে। গার্টনারের সিনিয়র প্রিন্সিপাল এমিলি ওয়েইস বলেছেন, ‘চিফ মার্কেটিং অফিসারদের (সিএমও) মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার হ্রাসের প্রভাব মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়া উচিত। তবে যেসব কোম্পানি অ্যাপের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল নয়, তাদের জন্য এটি ইতিবাচক হতে পারে। কারণ অ্যাপের ওপর নির্ভরতা কমলে এটি তৈরির খরচ কমে যাবে। ব্যবহারকারীরা এআই অ্যাসিস্ট্যান্টের ব্যবহার শুরু করলে অ্যাপনির্ভর গ্রাহক ডাটা আর পাওয়া যাবে না। আবার পুশ নোটিফিকেশন পাঠানোর সুযোগও কমে যাবে। গার্টনারের এ গবেষণা আরো বলছে, ২০২৬ সালের মধ্যে ওয়েবসাইটের কনটেন্টের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এমনভাবে তৈরি হবে, যেন এগুলো এআই-পাওয়ার্ড সার্চ টুলের মাধ্যমে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। অন্য এক জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ মার্কেটিং প্রধান ডিজিটাল মার্কেটিং বাজেটের প্রায় ২৫ শতাংশ খরচ করেন গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনে। বর্তমান সময় সার্চ ইঞ্জিনগুলো ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার সবচেয়ে বড় উৎস। ফলে এআই সহকারী এমন সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লোকসানের কারণ হতে পারে, যারা সার্চ ট্র্যাফিকের ওপর নির্ভরশীল। গত বছর এআই টুলগুলো ব্যবহারযোগ্য ও আরো কার্যকর হয়ে ওঠে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

×