ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ অ্যাপ

রাকিবুল হাকিম

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ অ্যাপ

একটা সময় ছিল যখন শ্রেণীকক্ষে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতো না। সময়ের প্রক্রিয়ায় সে ধারণার পরিবর্তন ঘটে। বর্তমানে শ্রেণীকক্ষ ও ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অংশ হিসেবে ডিজিটাল ডিভাইসসহ প্রয়োজনীয় সব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইন্টারনেটের ব্যবহার যেমন বেড়েছে, একইভাবে বেড়েছে নানা ধরনের অ্যাপের ব্যবহার। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যাবতীয় কাজ সহজ করতে ডেভেলপাররা নিয়মিত বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করছেন। আপনি কি একজন শিক্ষার্থী? তবে চলুন, প্রতিদিনকার দরকারি পাঁচটি অ্যাপ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

নোশন
শুধু শিক্ষার্থীদের মাঝেই নয়, পেশাজীবীদের কাছেও প্রডাক্টিভিটি অ্যাপ হিসেবে নোশনের যথেষ্ট কদর রয়েছে। কেউ চাইলে অ্যাপটি শুধু ‘টু-ডু লিস্ট’ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে। তবে এতে নোট-টেকিং, টাস্ক ম্যানেজমেন্ট, ডাটাবেজসহ আরো বেশ কয়েকটি ফিচার ব্যবহার করা যাবে। প্রতিটি ফিচার নিজের মতো করে নানাভাবে সাজিয়ে নেয়া যায়। কলাম আকারে বিভিন্ন নাম দিয়ে প্রতিটি কাজ উপস্থাপন করা যায়। সেগুলোর কতটা সময় বাকি, কবে করতে হবে ইত্যাদি তথ্য সহজেই দেখে নেয়া যায়। নিজের সুবিধামতো টেমপ্লেট সাজিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকছে। এছাড়া নোশনে আর্থিক হিসাবনিকাশ করা যায়।

গুগল ক্যালেন্ডার
অনেক ধরনের ক্যালেন্ডার অ্যাপ থাকলেও সহজে ব্যবহারের যোগ্যতার কারণে অনেকেই পছন্দ করেন গুগল ক্যালেন্ডার। পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক জীবনে এগিয়ে থাকতে সাপ্তাহিক কর্মসূচি নির্ধারণ করা জরুরি। ক্যালেন্ডার অ্যাপ রিমাইন্ডারের মাধ্যমে কাজকে আরো সহজ করে দেয়। নোশন অ্যাপে সপ্তাহের কাজকে বিস্তারিত তথ্যের মাধ্যমে সাজিয়ে নেয়ার পর সেগুলো ইভেন্ট আকারে গুগল ক্যালেন্ডারে রিমাইন্ডার নির্ধারণ করলে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। তাছাড়া গুগলের অন্যান্য অ্যাপের সঙ্গেও এটি বেশ ভালোভাবে সিংক হয়।

গুডনোটস সিক্স
অধিকাংশ নোট-টেকিং অ্যাপ কি-বোর্ডে টাইপ করে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এ অ্যাপে স্টাইলাস ব্যবহার করে কাগজে নোট নেয়ার মতো অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এতে ফাউন্টেইন, বল ও ব্রাশ এ তিন ধরনের পেন টুলের সাহায্যে মসৃণভাবে যেকোনো কিছু লেখা সম্ভব। নোট নেয়ার পর অসংখ্য ফোল্ডারের সাহায্যে সেগুলো গুছিয়ে রাখা যায়। পাশাপাশি গুডনোটস সিক্স অ্যাপে বানান নিরীক্ষক, গণিত সহকারী, ‘আস্ক গুডনোটস’-এর মতো এআই ফিচার থাকছে। যেগুলোর সাহায্যে নোট নেয়ার পর সহজে সেগুলো থেকে প্রয়োজনমাফিক তথ্য পাওয়া যায়।

ফ্লোরা
কোনো কাজে মনোনিবেশ করার ক্ষেত্রে স্ক্রিন টাইমের হিসাবনিকাশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ছোট একটি কাজে ফোন হাতে নিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে যায় শুধু স্ক্রল করতেই। ফ্লোরা অ্যাপ এ থেকে নিস্তার পেতে সাহায্য করে। মনোযোগ ধরে রাখার বিষয়টি অনুশীলন করতে ফ্লোরা অ্যাপে ভার্চুয়াল গাছ লাগানো যায়। তার আগে একটি সময় সেট করে নিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফোন ব্যবহার করলে গাছ মরে যাবে। না ব্যবহার করলে গাছটি পরিপূর্ণভাবে বেড়ে উঠবে। পরিচিতজনদের সঙ্গেও এ কাজ করা সম্ভব। তখন অন্যদের কাছে গাছ মরে গেল নাকি বেঁচে আছে সে সম্পর্কিত নোটিফিকেশন যাবে। অ্যাপটি শুধু অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে পাওয়া গেলেও অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মের জন্য একই ধরনের ফরেস্ট নামের একটি অ্যাপ রয়েছে।

গুগল ড্রাইভ
প্রতিটি গুগল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে ১৫ জিবির (গিগাবাইট) বিনামূল্যে ক্লাউড স্টোরেজ দেয়া হয়। পড়াশোনার কাজে প্রয়োজনীয় যেকোনো কনটেন্ট অ্যাপটিতে সেভ করে রাখা যায় এবং প্রয়োজনের সময় যেকোনো ডিভাইস থেকে শুধু গুগল অ্যাকাউন্টে লগইনের মাধ্যমে সেগুলো অ্যাকসেস করা যায়।

×