ছবিঃ সংরক্ষিত
বিজ্ঞানীরা একের পর এক অবাক করা আবিষ্কার করে সারা বিশ্বকে বিস্মিত করছেন। সম্প্রতি, দুই বিজ্ঞানী "ইশ্বরকণা" আবিষ্কার করে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন, যা পদার্থবিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তাছাড়া, গবেষকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সূর্য পূর্ব দিক থেকে ওঠে পশ্চিমে অস্ত যাওয়ার সময়টি খুব শীঘ্রই আসতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বিস্ময়কর নতুন তথ্য হলো "ডুমসডে ক্লক" নামক একটি প্রতীকী টাইমস্পেস যা প্রায় ৭৮ বছর আগে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছিলেন। এটি পৃথিবী মানব বসবাসের জন্য কতটা অযোগ্য হয়ে উঠেছে তার সংকেত দেয়।
মঙ্গলবার, ডুমসডে ক্লকটি ১২ টা ৮৯ সেকেন্ড আগে অবস্থান করছে, যা গত দুই বছরের তুলনায় একটি বড় পরিবর্তন। দুই বছর আগে এটি ১২ টা ৯০ সেকেন্ড আগে ছিল। বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ বেড়েছে কারণ এর প্রধান কারণ হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং জলবায়ু সংকট। ক্লকের কাঁটা যদি ১২ টায় পৌঁছে, তবে তা পৃথিবীকে মানব বসবাসের অযোগ্য করে তুলে, অর্থাৎ কেয়ামতের সময় সন্নিকটে।
ডুমসডে ক্লক পৃথিবীর জন্য এক কঠিন সংকেত, যেখানে ১২ টায় পৌঁছানো মানে পৃথিবী তিল তিল করে ধ্বংস হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দ্রুত প্রতিকার প্রয়োজন, বিশেষ করে বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং পরিবেশগত সংকটের কারণে।
এছাড়া, অনেকেই মনে করেন যে, বিজ্ঞান যতই নতুন তথ্য আবিষ্কার করুক না কেন, মানুষের মৃত্যুর অবধারিত সত্য একেবারে অপরিবর্তনীয়। ইসলামী ধর্মমতের অনুসারীরা মনে করেন, পবিত্র কোরআনে কেয়ামতের আগমনের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে এবং বিজ্ঞান যে সব ভবিষ্যতবাণী করছে, সেগুলি ইসলামের ভবিষ্যতবাণীর সাথেই মিলে যাচ্ছে, যা তাদের বিশ্বাসের জন্য আরও একটি প্রমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মারিয়া