ডুমসডে ক্লক
তিন বছর থমকে থাকার পর ২০২৩ সালে ডুমসডে ক্লকের কাটা এগিয়ে দেয়া হয়েছিল ১০ সেকেন্ড। সেখানেই থেমেছিল গত বছর। এবার এগিয়ে দেয়া হলো ১ সেকেন্ড। অর্থাৎ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে মানব সম্প্রদায়। ঘড়ির কাটা এগিয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে একটা সতর্ক বার্তা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব এরই মধ্যে খাদের কিনারায় রয়েছে। মধ্যরাতের দিকে এগোনোর অর্থ মহাবিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হওয়া। আর কোন ভুলের সুযোগ নেই।
বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন, যুদ্ধবিগ্রহ, পরমাণু হামলার শঙ্কা, প্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহার আর জলবায়ু সংকটের কারণে বিশ্ব পরিস্থিতি হুমকির মুখে বলে মত প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন দেশ পরমাণু অস্ত্রসহ সমর ভান্ডারের আকার বড় করছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে। যা মুহুর্তে মানব সভ্যতা ধ্বংস করে দিতে পারে। জলবায়ু সংকট নিয়ে বেশির ভাগ সরকারের কোন মাথাব্যথ্যা নেই। প্রযুক্তির ব্যবহারও নেতিবাচক দিকে গেছে অনেক ক্ষেত্রে।
মধ্যরাত বা ঘড়িতে ১২টা বাজার অর্থ হলো মানব সভ্যতার চুড়ান্ত ধ্বংসের নির্দেশক। মুলত মানব সভ্যতার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করাই প্রতীকী ঘড়ির ধারণার লক্ষ্য।
২০২৪ ছিল উষ্ণতম বছর। জলবায়ুর বিধ্বংসের রুপ দেখা গেছে। জীবন ও সম্পদ নষ্ট হয়েছে বিশ্বজুড়ে। ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। যা শঙ্কাজনক। প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পর ১৯৪৭ সালে The bulletin of atomic scientists তৈরি করেছিল ঘড়িটি। এই দলে ছিলেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনও। যুদ্ধ ও পারমানবিক শক্তির ভয়াবহতার সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। সেসময় ঘড়ির সময় ছিল ১১.৫৩ মিনিট। অর্থ্যাৎ মধ্যরাত হতে বাকী ছিল আরোও ৭ মিনিট।
২০২৩ আগে মধ্যরাতের সবচেয়ে কাছাকাছি ঘড়ির সময় পৌঁছে গিয়েছিল ১৯৫৩ সালে। মার্কিন সৌভিয়েত চুক্তির জেরে ১৯৯১ ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১১.৪৩মিনিটে। Doomsday Clock সবশেষ কাটা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ঘোর বিপদের মুখে বিশ্ব ও মানব সম্প্রদায়।
শহীদ