ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

ধ্বংসের পথে এক সেকেন্ড এগোলো পৃথিবীঃ ডুমসডে ক্লকের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত: ২০:০৭, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:১৪, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

ধ্বংসের পথে এক সেকেন্ড এগোলো পৃথিবীঃ ডুমসডে ক্লকের সতর্কবার্তা

ছবিঃ সংগৃহীত

মানবসভ্যতার সম্ভাব্য ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ডুমসডে ক্লক-এর কাঁটা আরও এক সেকেন্ড এগিয়ে আনা হয়েছে। বৈশ্বিক উত্তেজনা, জলবায়ু পরিবর্তন, পরমাণু যুদ্ধের হুমকি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনিয়ন্ত্রিত অগ্রযাত্রার কারণে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বৈশ্বিক সংকট ও ধ্বংসের আশঙ্কাঃ
বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাত, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্লকের কাঁটা বর্তমানে মধ্যরাতের মাত্র ৯০ সেকেন্ড দূরে, যা ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়। মধ্যরাত প্রতীকীভাবে মানবজাতির চূড়ান্ত ধ্বংস নির্দেশ করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি প্রধান কারণ এই সংকট আরও ঘনীভূত করেছেঃ 

* রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধঃ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধ বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কাও বাড়ছে।

* গাজা-ইসরায়েল সংঘাতঃ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ ও মানবিক সংকট বৈশ্বিক শান্তিকে নড়বড়ে করে তুলেছে।

* যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনাঃ দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা, তাইওয়ান ইস্যু এবং কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে দুটি পরাশক্তির মধ্যে সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে।

* জলবায়ু সংকটঃ ২০২৪ সাল ছিল রেকর্ড করা ইতিহাসের উষ্ণতম বছরগুলোর একটি। দাবদাহ, দাবানল, খরা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে।

* কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকিঃ প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে সাইবার হামলা, ভুয়া তথ্য প্রচার এবং বিশ্বব্যাপী বিভ্রান্তির মাত্রা বেড়েছে।

বিশ্বকে সতর্কবার্তাঃ
ডুমসডে ক্লক পরিচালনাকারী বিজ্ঞানীরা বলছেন, "আমরা এখন এক সংকটপূর্ণ সময়ে বাস করছি। বিশ্ব নেতাদের অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, নয়তো মানবজাতি অনিবার্য বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।"

বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিগত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত না হলে ডুমসডে ক্লকের কাঁটা আরও এগিয়ে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতের জন্য বড় ধরনের অশনি সংকেত।

সুত্রঃ https://youtu.be/Ku7DNzFFeiY?si=BUzWeDBUJXoAALoj

আসিফ

×