ছবি : সংগৃহীত
গাজা যুদ্ধের প্রথম থেকেই ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। বিশেষত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার পর ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে (আইডিএফ) এআই প্রযুক্তি সরবরাহে গুগলের কর্মীরা সরাসরি জড়িত ছিলেন। অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর গুগল ক্লাউড বিভাগের এক কর্মী আইডিএফের অনুরোধে তাদের এআই প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকারের সুযোগ বাড়িয়ে দেন।
যদিও প্রকাশ্যে গুগল ইসরাইলি সামরিক অভিযান থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছে, তবে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদন জানায়, ইসরাইলি বাহিনী তাদের নজরদারি ও লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
এর আগে ২০২১ সালে ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে গুগল ও অ্যামাজনের মধ্যে ১২০ কোটি ডলারের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তি হয়। এই চুক্তির বিরোধিতা করায় গুগল ৫০ জনেরও বেশি কর্মীকে বরখাস্ত করে। চুক্তির অংশ হিসেবে গুগল ও অ্যামাজন ইসরাইলে ডেটা সেন্টার নির্মাণ করেছে এবং সরকারি বিভিন্ন বিভাগে ক্লাউড সেবা সরবরাহ করেছে।
প্রতিবাদকারী অ্যাক্টিভিস্টদের দাবি, ইসরাইলি সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়মিত গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল তাদের এআই সেবার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তারা আরও বলেন, “আমরা শুধু স্বচ্ছতা দাবি করছি—আমাদের কাজগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি জানার অধিকার আমাদের রয়েছে।”
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
মো. মহিউদ্দিন