ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১

আইনস্টাইনের অদ্ভুত সব কাণ্ড

প্রকাশিত: ০০:০৮, ১০ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০০:৩০, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

আইনস্টাইনের অদ্ভুত সব কাণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

‘বিখ্যাত হওয়ার জ্বালা অনেক’ -আজও এমন ধারণা রয়েছে আমাদের। এই তত্ত্বকে সর্বাংশে ভুল বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ বিখ্যাত মানুষের হাঁটা-চলা, বসা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুর ওপরই নজর থাকে সবার। 

 

বিজ্ঞানের দুনিয়ায় প্রতিভা বিচ্ছুরণ ঘটালেও, সেই কাটাছেঁড়া থেকে রক্ষা পাননি স্বয়ং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনও। তার গবেষণা, আবিষ্কার, তত্ত্ব যেমন আজকের দিনেও সমান প্রাসঙ্গিক। তেমনই তার কিছু অভ্যাসের কথাও ঘুরে ফিরে উঠে আসে। মজগাস্ত্রে শান দিতেই তিনি কিছু অভ্যাস রপ্ত করেছিলেন বলে মনে করেন কেউ কেউ। অনেকে আবার সেগুলোকে ‘উদ্ভট’ কাণ্ড কারখানা বলেও মনে করেন।

১. নিজের বাড়ি খুঁজে না পাওয়া:
আইনস্টাইন এতটাই মনোযোগী ছিলেন তার গবেষণায় যে, অনেক সময় তার আশেপাশের সাধারণ ব্যাপারগুলো ভুলে যেতেন। একদিন তিনি নিজের বাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলেন না! প্রতিবেশীরা তাকে চিনে বাড়ি পৌঁছে দিতে সাহায্য করেন। জানা যায়, তিনি তার ঠিকানাও মাঝেমধ্যে ভুলে যেতেন। এমনকি, নিজের নামও কখনো কখনো মনে করতে দেরি হতো।
 

২. মোজার প্রতি অরুচি:
আইনস্টাইন মোজা পরতে একদমই পছন্দ করতেন না। তিনি বলতেন, “মোজার জন্য সময় নষ্ট করব কেন? কী দরকার!” তাই তিনি কখনোই মোজা পরতেন না, এমনকি শীতকালেও। তার মতে, মোজা শুধু একটা ‘অতিরিক্ত বোঝা’।
 

৩. চুল আঁচড়াতে অপছন্দ করতেন:
তার বিখ্যাত চুলের স্টাইল কি ইচ্ছাকৃত? একদমই নয়। আসলে তিনি কখনোই চুল আঁচড়াতেন না। তার ভাষায়, “চুল নিয়ে চিন্তা করার সময় আমার নেই।” এ কারণে তার চুল সবসময় এলোমেলো থাকত, যা পরবর্তীতে তার একটি ট্রেডমার্ক হয়ে ওঠে।
 

৪. মজার চিঠি: আইনস্টাইন মাঝে মাঝে তার বন্ধুদের মজার চিঠি লিখতেন। একবার তিনি তার বন্ধুকে লিখেছিলেন, “জানিস, আমার ঘরে একটা বিড়াল আছে, সে বড্ড কষ্টে থাকে কারণ আমি সারাক্ষণ গবেষণায় ব্যস্ত। তবে বিড়ালটাও আমার মতো বুদ্ধিমান হতে পারে।” এমন মজার গল্প তার চিঠিগুলোতে প্রায়ই পাওয়া যেতো।
 

৫. নোবেল পুরস্কার এবং তার অর্থ:
আইনস্টাইন তার নোবেল পুরস্কারের অর্থ নিয়ে কী করেছিলেন? তিনি সেই অর্থ তার প্রথম স্ত্রী মিলেভাকে দিয়ে দিয়েছিলেন। এটা ছিল তাদের বিচ্ছেদের সময় একটি চুক্তি। আইনস্টাইন বলেছিলেন, “আমার কাজই আমার আসল পুরস্কার।”
 

৬. নিজের জন্মদিন ভুলে যাওয়া:
আইনস্টাইন তার জন্মদিন মনে রাখতে পারতেন না! একবার এক সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আজ আপনার জন্মদিন কেমন কাটছে?” আইনস্টাইন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “ওহ! আজ কি আমার জন্মদিন?”
 

৭. সাইকেলের প্রতি ভালোবাসা:
আইনস্টাইন সাইকেল চালাতে খুব ভালোবাসতেন। তিনি বলতেন, “জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে সাইকেল চালানোর মতো চালিয়ে যেতে হবে।” তার এই উক্তি শুধু সাইকেলের জন্য নয়, জীবনের জন্যও দারুণ প্রাসঙ্গিক।
 

৮. বিড়ালের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক:
আইনস্টাইন বিড়াল খুব পছন্দ করতেন। তার একটি বিড়াল ছিল, যার নাম ছিল টাইগার। একবার টাইগার খুব মন খারাপ করে ছিল বৃষ্টির জন্য। তখন আইনস্টাইন তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, “দেখো টাইগার, আমরা তো প্রকৃতিকে বদলাতে পারি না। তাই মন খারাপ করেও লাভ নেই।”
৯. খাবারের প্রতি উদাসীনতা:
আইনস্টাইন খাবারের প্রতি একদমই উদাসীন ছিলেন। তিনি প্রায়ই এক জায়গায় বসে কাজ করতে করতে খাওয়ার কথা ভুলে যেতেন। এমনকি, একবার তার সহকারী তাকে মনে করিয়ে দেন যে, তিনি সারাদিন কিছু খাননি। তখন তিনি বলেছিলেন, “ওহ! কাজ করতে করতে আমি বুঝতেই পারিনি।”
 

তাবিব

×