ছবি: সংগৃহিত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানেই এখন মেটা। মানুষ প্রচুর সক্রিয় এই সাইটে। বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষ এর আওতাভুক্ত। নতুন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ।
তিনি বলেছেন, মেটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি মেটা’র ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম বন্ধ করবে এবং পরিবর্তে এলন মাস্কের এক্স-এর মতো একটি কমিউনিটি নোটস সিস্টেম চালু করবে, যা প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে মেটা বলেছে, বিশেষজ্ঞদেরও নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং পক্ষপাত থাকে। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, কোন বিষয়টি ফ্যাক্ট-চেক করা হবে এবং কীভাবে তা নির্ধারণে তাদের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাব ফেলে।
এবং এই পরিবর্তনগুলো মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম এবং থ্রেডস-এ প্রভাব ফেলবে।
মেটার নতুন এই কমিউনিটি নোটস মডেলে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং থ্রেডসের পোস্টে ভুল তথ্য বা ভুল বোঝার সম্ভাবনা থাকলে তা চিহ্নিত করতে পারবেন এবং প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা সংযুক্ত করার সুযোগ পাবেন।
ফলে স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞদের তথ্য প্রকাশের জন্য অপেক্ষার প্রয়োজনীয়তা আর থাকবে না।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফেসবুকের মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর সমালোচনার পর ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম চালু হয়েছিল। ২০২৩ সালে মেটার একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামটি ‘৬০ টিরও বেশি ভাষায় কাজ করা প্রায় ১০০টি সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রসারিত হয়েছে।’
মেটা বলেছে যে তারা পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কমিউনিটি নোটস পদ্ধতি চালু করবে এবং বছরের বাকি সময়ে এটি উন্নত করতে থাকবে।
ফ্যাক্ট-চেক করা কনটেন্টকে ডিমোশন দেওয়া বন্ধ করে মেটা পোস্টের সঙ্গে একটি লেবেল যুক্ত করবে, যা ব্যবহারকারীদের জানাবে পোস্টটির সঙ্গে অতিরিক্ত তথ্য রয়েছে। আগের মতো সতর্কবার্তা দেখিয়ে পোস্টে প্রবেশের বাধা আর থাকবে না।
শিলা ইসলাম