ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক গোটা বিশ্বের তরুণদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার নাম।
স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন ইলন মাস্ক। ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে তিনি এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, এখন বিল গেটস, স্টিভ জবসসহ অন্যদের সঙ্গে তাকে তুলনা করা হয়।
ইলন মাস্ক ১৯৭১ সালের ২৮ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার বাবা একজন সফল প্রকৌশলী ছিলেন। তার মা ছিলেন মডেল ও পুষ্টিবিদ। তার ভাই কিম্বল মাস্ক একজন পরিবেশবাদী ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট। বোন টোসকা মাস্ক পুরষ্কার বিজয়ী পরিচালক ও প্রযোজক।
ইলন মাস্কের দশটা কাজের মধ্যে অন্যতম দুটি কাজ হচ্ছে- টেসলা মোটরস ও স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করা। টেসলার মডেল-৩ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি। বিশ্বব্যাপী প্রায় এক মিলিয়নেরও বেশি বিক্রি হয়েছে।
স্পেসএক্সের নাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মূলত পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রকেটের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে।
ইলন মাস্ক মনে করেন, মানুষের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে অ্যাকস্ট্রা অর্ডিনারি। এই গুণ যার মধ্যে আছে-তার সাফল্য আসবেই।
আপনার জীবনে যা ঘটে, তাই আপনার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখান থেকেই জীবনের শিক্ষা অর্জন করে নিতে হবে।
নিউজ পেপারই হচ্ছে আপনার ফোন। পড়ার বিকল্প নেই। প্রচুর পড়তে হবে। ভার্জ ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমার ছোট্ট লাইব্রেরিতে মহাকাশ-সম্পর্কিত যত বই আছে, সব আমি পড়েছি।’
জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। সময় অপচয় করা যাবে না। এরই মধ্যে সবচেয়ে ভালো কিছু খুঁজে নিতে হবে।
আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে। পরিশ্রমের বিকল্প নেই। পরিশ্রমই আপনাকে সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে।
অসম্ভবকে জয় করতেই হবে। লড়াই করুন নিজের সঙ্গে! নিজের সেরাটা বের করে আনুন।
ঝুঁকি নেওয়ার কথা সম্ভবত তাঁর মুখেই সবচেয়ে ভালো মানায়! বারবার ঘুরেছে তাঁর জীবনের মোড়। তবে জীবনে কিছু পেতে হলে ঝুঁকি তো নিতেই হবে!
বিচিত্র সব খাতে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন ইলন মাস্ক। বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। কিন্তু তাঁর এই সাফল্যের রহস্যটা কী? রহস্য হলো, প্রস্তুতি না নিয়ে তিনি মাঠে নামেন না।
ইলন মাস্ক বলেন, যে কাজটি আপনি করছেন সেটাকে ভালোবাসা খুব জরুরি। যদি তা না হয়, তাহলে মনে হবে, আপনি নিজের ওপর জোর খাটাচ্ছেন।
এসআর