ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সত্যি হতে চলেছে ৯০ দিনে মঙ্গল যাত্রা!

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সত্যি হতে চলেছে ৯০ দিনে মঙ্গল যাত্রা!

মঙ্গল যাত্রা।

গতির যুগে একটুও সময় নষ্ট করা মানেই বড়সড় ক্ষতি। আর দুঁদে ব‌্যবসায়ী তথা বিশ্বের অন‌্যতম ধনকুবের হিসাবে এই আপ্তবাক‌্য অক্ষরে অক্ষরেই মেনে চলেন টেসলা কর্তা এলন মাস্ক। আর তাই তাঁর সংস্থা স্পেসএক্স-এর হয়ে তিনি পরিকল্পনা করছেন এমন দ্রুতগতির মহাকাশযান তৈরি করার, যা ছয় থেকে নয় মাসের কোনও দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে মাত্র তিন মাসে। মানে ৯০ দিনে।


স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক আরেকটি বিপ্লবী দাবি করেছেন, যা মহাকাশ ভ্রমণের ইতিহাস বদলে দিতে পারে। মাস্ক বলেছেন যে বর্তমানে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে 6 থেকে 9 মাস সময় লাগে তবে তার নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে এই যাত্রা মাত্র 90 দিনে শেষ করা সম্ভব।

কস্তুরী বর্তমানে তার মহাকাশযানে রয়েছেন তারাশিপ এটি একটি নতুন ডিজাইনের অধীনে প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা এই যানটিকে ঘণ্টায় 36,000 কিলোমিটারের বেশি গতি অর্জন করতে সক্ষম করবে। ফলস্বরূপ, পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব 80 থেকে 100 দিনে কাভার করা যাবে, যা বিদ্যমান মহাকাশযানের তুলনায় একটি বিশাল অর্জন হবে। এই জন্য অরবিটাল রিফুয়েলিং এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, যা গাড়িটিকে মাঝপথে রিফিয়েল করার এবং এর গতি বাড়ানোর সুযোগ দেবে।


ইলন মাস্কের দাবি তার এই যানটি মঙ্গলে পৌঁছাবে সমসাময়িক যেকোন মহাকাশযান থেকে দ্রুতগতিতে। স্টারশীপ সুপারহেভি মহাকাশযানের সপ্তম সংস্করণ তৈরির জন্য প্রস্তুত।

তবে এতেই শেষ নয়। মাস্ক চান, অদূর ভবিষ‌্যতে এই দূরত্ব আরও কমিয়ে আনতে। স্পেসএক্স কর্তা চান, ৯০ দিন নয়। স্টারশিপ মঙ্গলে পৌঁছক মাত্র ৪৫ দিনে! তবে তা করতে হলে অনেক কিছু প্রয়োজন। মাস্কের মতে, শুধু অতি-শক্তিশালী ইঞ্জিন হলেই চলবে না, এর জন‌্য দরকার মূল মহাকাশযানের সঙ্গে বেশ কিছু অতিরিক্ত জ্বালানি ট‌্যাঙ্কার, যাতে যাত্রার মাঝপথেই জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে ফের ভরিয়ে নেওয়া যায় অযথা সময় নষ্ট না করেই। স্পেসএক্স সংস্থা সূত্রে খবর, তারা তাদের স্টারশিপ সুপার হেভি মহাকাশযানের উন্নত এবং দ্রুততর সপ্তম সংস্করণ তৈরির জন‌্য এখন থেকেই কাজে লেগে পড়ছেন। ২০২৫ সালে এটির মহাশূন্যে পাড়ি দেওয়ার কথা।

ইসরাত

×