ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

নতুন ফোন কিনেও ঠকছেন গ্রাহকরা, এর সমাধান কী?

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

নতুন ফোন কিনেও ঠকছেন গ্রাহকরা, এর সমাধান কী?

একই ফিচারের ফোন বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন নামে, প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা

একই ফিচারের স্মার্টফোন ভিন্ন ভিন্ন মডেল কিংবা নামে বিক্রি করছে স্মার্টফোন কোম্পানীগুলো। এক্ষত্রে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। ধরুন আপনি ২০২২ সালে x 99a মডেলের একটি ফোন কিনলেন। ২০২৪ সালে সেম কোম্পানীই সেম ফিচার দিয়ে সেম ফোন রিলিজ করেছে x100 lite নামে। যার ফলে গ্রাহক ২০২৪ সালে এসে নতুন ফোন মনে করে সেই পুরানো ফোনটিই কিনে ঠকে যাচ্ছেন।

বর্তমান সময়ে বাজারে হরেক রকমের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। কোম্পানীগুলো কে কত কম দামে বেশি ফিচার দিতে পারে এই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। আর অন্যদিকে মানুষের মাঝেও স্মার্টফোনের চাহিদা বেশি থাকায় বিভিন্ন ফিচারসমৃদ্ধ ফোন বাজারে আনছে কোম্পানিগুলো। তবে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মার্কেট ধরে রাখার কৌশল হিসেবে কিছু ব্র্যান্ড একই ফিচার ও হার্ডওয়্যার সমৃদ্ধ স্মার্টফোন বিক্রি করছে অন্য সিরিজ বা ব্র্যান্ডের নামে। যার ফলে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা।

এক্ষেত্রে কোম্পানীগুলো এধরণের কৌশলের নাম দিয়েছে রি-ব্র্যান্ডিং, এই কৌশলে ব্র্যান্ডের হয়তো বিক্রি বাড়ছে তবে ঠকছেন গ্রাহকরা।

কোম্পানীগুলোর এ ধরণের কাজ করার পিছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে খবরের শিরোনামে থাকা। একটি স্মার্টফোন কোম্পানী যত বেশি ফোন রিলিজ করতে পারবে তত বেশি আলোচনায় থাকতে পারবে। একারণেই ফোন কোম্পানীগুলো এ ধরণের রিব্র্যান্ডিং করার উপায় বেছে নেন বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।

তবে আলোচনায় থাকা ছাড়াও রিব্র্যান্ডিং করার আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে সিস্টার ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোকে আলোচনায় রাখা। যেমন শাওমির সিস্টার কনসার্ন রেডমি। অপ্পোরর সিস্টার কনসার্ন রিএলমি, ওয়ানপ্লাস। এছাড়াও রিব্র্যান্ডিং করে অফলাইন ও অনলাইন মার্কেট ধরার চেষ্টা চালায় কোম্পানীগুলো।

তবে আপাতদৃষ্টিতে স্মার্টফোন ক্লোনিংকে চতুর বিপণন কৌশল বলে মনে হলেও শেষ পর্যন্ত এটি ভোক্তা এবং বাজারের ওপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। যার ফলে ক্রেতাদের ব্র্যান্ডের ওপর আস্থা কমে যায় বলেই মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
 

বারাত

×