ফেসবুক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক। ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। উন্নত প্রযুক্তির এই যুগে ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিরাপত্তার বিষয়টি মুখ্য হয়ে উঠছে। ফেসবুকে নিজের পরিচয় ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টুল বা পদ্ধতি রয়েছে।
প্রথমত: হোয়্যার ইউ আর লগড ইন সুবিধাটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী কোন অবস্থান ও ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেছে, তা দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের যেকোনো অস্বাভাবিক কার্যক্রম চিহ্নিত করা যাবে। এ ছাড়া অপরিচিত কোনো স্থান থেকে লগইন হওয়া ডিভাইসকে নট মি হিসেবে বেছে নেওয়ার মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা যাবে।
দ্বিতীয়ত: অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কার্যকরী উপায় হলো অপরিচিত লগইনের জন্য অ্যালার্ট চালু করা। গেট অ্যালার্টস অ্যাবাউট আনরিকগনাইজড লগইনস ফিচারটি চালুর মাধ্যমে অপরিচিত কোনো ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টে লগইন করা হলে মুহূর্তেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, মেসেঞ্জার ও নির্দিষ্ট ইমেইলে একটি নোটিফিকেশন পাঠানো হয়। ফলে সতর্ক হতে পরেন ব্যবহারকারী।
তৃতীয়ত: অনেকেই মনে রাখার সুবিধার্থে সহজ এবং জন্মদিন বা বিবাহ বার্ষিকীর মতো বিশেষ তারিখ অথবা প্রিয়জনের নামের সঙ্গে মিল রেখে পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকেন। এটি সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায়। তাই অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি হ্যাকারদের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে সংখ্যা, বিভিন্ন চিহ্ন ও শব্দ ব্যবহার করতে হবে। দীর্ঘ ও বিভিন্ন সংখ্য ও চিহ্ন মিলিয়ে দেওয়া পাসওয়ার্ড চুরি করা তুলনামূলকভাবে কঠিন। এ ছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী মাঝেমধ্যে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।
চতুর্থত: ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে আরও নিরাপদ করে তুলতে চাইলে এর টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা টুএফএ সুবিধা ব্যবহার করা যায়। ফলে অন্য কেউ লগইনের চেষ্টা করলে আসল ব্যবহারকারী কিনা, তা নিশ্চিতে দুটি ধাপ পার করতে হবে। সাধারণত প্রথম ধাপে পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে ব্যবহারকারীকে একটি লগইন কোডও প্রবেশ করতে হবে, যা ওই ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত মোবাইল ফোন নম্বরে টেক্সট মেসেজ বা ওটিপি হিসেবে পাঠাবে ফেসবুক।
এস