ফেসবুক ব্লু টিক
ভারতে অর্থের বিনিময়ে ব্লু টিক সুবিধা চালু করেছে মেটা। নির্দিষ্ট অর্থ খরচ করে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে ব্লু টিক বা ভেরিফাই সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
এই সাবস্ক্রিপশন মডেল অনেকটা টুইটার ব্লু-এর মতোই। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে এই ব্লু ব্যাজ পাওয়া যায়।
মেটা জানিয়েছে, বিশ্বের কয়েকটি দেশে এই ফিচারের প্রাথমিক পরীক্ষার করা হয়। সেখানে ভালো ফলাফল পাওয়া পর আমরা ভারতে এই ভেরিফায়েড পরিষেবা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মেটা ভেরিফায়েডে কী কী সুবিধা পাবেন?
এই সাবস্ক্রিপশন মডেলে অধীনে ইউজারের অ্যাকাউন্ট যাচাই করার পর তাদের ব্লু ব্যাজ দেওয়া হবে। এই যাচাই করা জন্য সরকারি পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম দুই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেই মেটা ভেরিফায়েড পাওয়া যাবে।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে পরীক্ষা করা হয়েছিল মেটা ভেরিফায়েড। সরকারি পরিচয়পত্র যাচাই করার পর সেউ ইউজারের অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক দেওয়া হবে। তবে এর জন্য খরচ করতে হবে টাকা।
মেটা জানিয়েছে, ব্লু ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টগুলো ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে সুরক্ষিত থাকবে, পাশাপাশি যারা অনলাইন দর্শক বাড়াতে চান তাদের সাহায্য করা হবে। অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনোরকম অসুবিধা হলে তার সাপোর্ট দেওয়া হবে ইউজারদের।
মেটা ব্লু টিক পেতে কত খরচ?
সরাসরি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ থেকে এই ব্লু টিক কিনতে পারবেন ইউজাররা। অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস উভয় ইউজাররাই এই সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। এর জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ৬৯৯ রুপি। এই মুহূর্তে অ্যাপে এই ভেরিফায়েড পরিষেবা পাওয়া গেলেও আগামীদিনে ওয়েব ইউজারদের জন্যও ভেরিফায়েড ফিচার রোল আউট করা হবে বলে জানিয়েছে মেটা।
কারা কারা নিতে পারবে ব্লু টিক?
এই ব্লু টিক টাকা খরচ করে পাওয়া গেলেও কিছু শর্ত রেখেছে মার্কিন সংস্থাটি। ফেসবুকের ক্ষেত্রে উক্ত ইউজারের অনলাইন উপস্থিতি ভালো থাকতে হবে। যে সব অ্যাকাউন্টে আগে থেকে ব্লু টিক ছিল তারা সেই ব্যাজ রিটেন করতে পারবে।
অপরদিকে ইনস্টাগ্রামের ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টে পোস্ট হিস্ট্রি থাকতে হবে। অ্যাকাউন্টধারীর বয়স নুন্যতম ১৮ বছর হতে হবে। এই ব্লু টিক পাওয়ার জন্য বৈধ সরকারি পরিচয়পত্র যাচাই করতে হবে এবং সেই পরিচয়পত্রে যে নাম এবং ছবি রয়েছে তা যেন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মিল রয়েছে।
এমএস