ইনস্টাগ্রাম
উঠতি বয়সে অনেকেই এই পেশায় আশার চেষ্টাও করছেন। কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছেন। কিছুতেই ফলোয়ার্সের সংখ্যা বাড়ছে না। অর্থাত্, ইনফ্লুয়েন্সারদের কাজ দেখে সেটি সহজ বলে মনে হতেই পারে। কিন্তু বাস্তবে, এক্ষেত্রেই কিছু বিষয় বোঝার দরকার। ইনস্টাগ্রামের অ্যালগোরিদম বুঝতে না পারলে, সেখানে সাফল্য পাওয়াটা বেশ কঠিন।
ইনস্টাগ্রামে হাজার-হাজার ফলোয়ার্স। আর সেটা কাজে লাগিয়েই লক্ষাধিক টাকা আয়। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়াটাই রীতিমতো একটি আকর্ষণীয় পেশা। উঠতি বয়সে অনেকেই এই পেশায় আশার চেষ্টাও করছেন। কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছেন। কিছুতেই ফলোয়ার্সের সংখ্যা বাড়ছে না।
অর্থাৎ ইনফ্লুয়েন্সারদের কাজ দেখে সেটি সহজ বলে মনে হতেই পারে। কিন্তু বাস্তবে, এক্ষেত্রেই কিছু বিষয় বোঝার দরকার। ইনস্টাগ্রামের অ্যালগোরিদম বুঝতে না পারলে, সেখানে সাফল্য পাওয়াটা বেশ কঠিন। সেই অ্যালগোরিদমের উপরেই আলোকপাত করলেন ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোজেরি। ঠিক কীভাবে ইনস্টাগ্রামের র্যাঙ্কিং অ্যালগোরিদম কাজ করে, কীভাবে ইউজারদের আচরণের উপর ভিত্তি করে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেজে ওঠে, তারই হদিশ দিলেন তিনি। এটি মেনে চললেই কিন্তু আপনি আপনার কনটেন্টের রিচ আরও বাড়াতে পারবেন।
২০২১ সালেও এর আগে ইনস্টাগ্রামের প্রধান এহেন ব্যাখা দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনকার সময় থেকে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে।
অ্যাডাম মোজেরি জানিয়েছেন, ইনস্টাগ্রামের কোনও নির্দিষ্ট একটি অ্যালগোরিদম নেই। অ্যাপের প্রতিটা অংশের ক্ষেত্রে নিজস্ব, আলাদা অ্যালগোরিদম রয়েছে। মানে, রিলস, ছবি, এক্সপ্লোর, স্টোরিজ- সবের ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা ভিউয়িংয়ের প্রবণতা কাজ করে।
কীভাবে ইনস্টাগ্রাম রিল, গল্প, ফিড এবং এক্সপ্লোরকে র্যাঙ্ক করে?
র্যাঙ্কিং নির্ভর করে Instagram-এ ব্যবহারকারীদের কার্যকলাপ, পোস্ট এবং পোস্ট করা ব্যক্তির তথ্য এবং ব্যবহারকারীদের কারও সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করার হিস্ট্রির মতো বিষয়গুলির উপর। সহজ ভাষায় বলতে পারেন, ইনস্টাগ্রাম এই তথ্যগুলি কাজে লাগিয়েই 'ভবিষ্যদ্বাণীর সেট' তৈরি করে। অর্থাত্, আগের অভ্যাস দেখে বলে দিতে পারে ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীর কোন ধরনের কনটেন্ট দেখতে ভাল লাগবে।
'ফিডে যে পাঁচটি বিষয় সবচেয়ে মনযোগ সহকারে দেখা হয়, সেগুলি হল একটি পোস্টে কত সেকেন্ড ব্যয় করা হচ্ছে, তাতে কমেন্ট করা হচ্ছে কিনা, লাইক দেওয়া, শেয়ার করা এবং প্রোফাইল ফটোতে ট্যাপ করা।
উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক আপনি K-Pop, অ্যানিমে এবং কোরিয়ান ওয়েব সিরিজের ভক্ত। ফলে কোরিয়ান যে কোনও কনটেন্ট, যেমন BTS, ব্ল্যাকপিঙ্কের রিলস দেখলেই আপনি তাতে ক্লিক করেন। পুরোটা দেখেন। অনেক সময়ে কমেন্টও করছেন। বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করছেন। এরকম কয়েকবার করার পরপরই আপনার অ্যালগোরিদম সেটা ধরে ফেলবে। ফলে পরে, যত বারই ইনস্টাগ্রাম খুলবেন, আপনাকে কোরিয়ান বিভিন্ন রিলস সাজেস্ট করা শুরু হয়ে যাবে।
ক্রিয়েটররা এর থেকে কী বুঝবেন?
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসাবে আপনাকে বুঝতে হবে, ঠিক কোনও দর্শক, সম্ভাব্য ফলোয়ার্সদের আপনি 'টার্গেট' করছেন। তাঁরা ঠিক একই ধরনের অন্য কোন রিল দেখেন। সেটা ভেবেই আপনার কনটেন্ট তৈরি করুন। শুধু তাই নয়। কোনও কনটেন্ট ভাল পারফর্ম করলে, দ্রুত ঠিক সেই একই ধরনের আরও অজস্র কনটেন্ট বানাতে থাকতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ এতে আপনার ভাইরাল কনটেন্টের পিছু-পিছু, পরবর্তী কনটেন্টগুলিও টেনে নেবে অ্যালগোরিদম। নিয়মিত মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে আপনার ভিডিয়ো। এটাই বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে সাফল্যের মূল মন্ত্র।
এমএস