মেটা
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য পাচার করার অভিযোগে ফেসবুকের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা’কে ১৩০ কোটি ডলার জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডেটা সুরক্ষা বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান ডেটা প্রটেকশন বোর্ড। ইইউ’র ডেটা সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত আইন জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশনের (জিডিপিআর) আওতায় সোমবার (২২ মে) এই জরিমানা আদেশ জারি করেছে বোর্ড। তথ্য পাচারের অভিযোগে ইউরোপীয় ডেটা প্রটেকশন বোর্ডের এটি সর্বোচ্চ জরিমানা।
মেটা’র পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ডেটা প্রটেকশনের এই জরিমানার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
সোমবারের বিবৃতিতে ইউরোপিয়ান ডেটা প্রটেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া জেলিনেক বলেন, ‘ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। তাই ব্যক্তিগত তথ্যের পাচারের পরিমাণও বিশাল এবং বেশ ধারাবাহিক ও পদ্ধতিগতভাবে এসব তথ্য পাচার হয়েছে বলে আমাদের অনুসন্ধানে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপে কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘণ করার অর্থ তার ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল। এই অনাকাঙিক্ষত জরিমানার মাধ্যমে আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে এই সতর্কবার্তা দিতে চাইছি যে, ইউরোপে যে কেউ যদি অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘণ ঘটায় তাকে সুদূরপ্রসারী পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
এদিকে সোমবার পাল্টা এক বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি মেটা জানিয়েছে, যে সমস্যাটি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই জরিমানা জারি করেছে— সেটি মেটার দুরভিসন্ধি বা গাফিলতির জন্য নয়, বরং এটি একটি ‘আইন বিষয়ক’ জটিলতা।
মেটা সদর দপ্তরের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের শীর্ষ নির্বাহী নিক ক্লেগ এবং মেটার প্রধান লিগ্যাল অফিসার জেনিফার নিউস্টেড এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি হওয়ায় মেটা মার্কিন আইন-কানুন অনুযায়ী কোম্পানি পরিচালনা করতে বাধ্য। ব্যক্তিগত ডেটা ও গোপনীয়তা রক্ষা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইন ইউরোপের আইন থেকে ভিন্ন।
বিবৃতিতে মেটা’র দুই নীতিনির্ধারক কর্মকর্তা জানান, ইউরোপিয়ান ডেটা প্রটেকশন বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাবে কোম্পানি।
সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস্
এমএস