অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যখন তারা অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। তা ছাড়া অল্পবয়সীদের মাঝে যারা দিনে অন্তত তিন ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের মাঝে আত্মহত্যামূলক প্রবণতা বেশি থাকে। প্রযুক্তিভিত্তিক পোর্টাল গ্যাজেটস নাউ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনটিতে কয়েকটি গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়। আরেক গবেষণার তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ভয়ানক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পেছনে রয়েছে অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার।
বিষয়টি প্রতিটি মা-বাবার জন্য নিঃসন্দেহে চিন্তার কারণ। শীর্ষ প্রযুক্তিবিদেরা আবার এ ব্যাপারে সচেতন হয়েছেন বেশ আগে, এমন তথ্য উঠে এসেছে স্ক্রিন স্কুল্ড নামের এক বইয়ে। সন্তানদের প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে শিশুদের কেমন ক্ষতি হচ্ছে, সে সম্পর্কে দুজন শিক্ষাসংস্কারক ও অধ্যাপক জো ক্লিমেন্ট এবং ম্যাট মাইলস বইটি লিখেছেন। বইটিতে লেখকদ্বয় উল্লেখ করেছেন, সিলিকন ভ্যালির ধনী বাবা-মায়েরা স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, কম্পিউটারের আসক্তি করার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি উপলব্ধি করেছেন। হয়তো তাঁরা এসব বিষয়ে বেশি অবগত, তাই। বইটিতে বলা হয়েছে, সিলিকন ভ্যালির বেশ কিছু স্কুলের বিশেষত্ব হলো, শিশুদের মানসিক বিকাশের কথা মাথায় রেখে ওই সব প্রতিষ্ঠানে যতটা সম্ভব কম প্রযুক্তি ব্যবহার করা। বরং একে অপরকে শ্রদ্ধা, সম্মান করাসহ বিভিন্ন মানসিক বিকাশের প্রতি বেশি জোর দেওয়া হয়।
বইটির লেখকদ্বয় লিখেছেন, শক্তিশালী প্রযুক্তিপ্রধানেরা তাদের পণ্য সম্পর্কে এমন কী জানেন, যা ভোক্তারা জানেন না? উত্তরটা অনেকটা এ রকম, ডিজিটাল প্রযুক্তির আসক্তি ক্ষমতা। অভিভাবক হিসেবে প্রযুক্তিজগতের দুই হর্তাকর্তা বিল গেটস ও স্টিভ জবসের দর্শন একই। তারা তাদের সন্তানদের খুব অল্প সময়ের জন্য নিজেদের তৈরি করা পণ্য ব্যবহার করতে দিতেন। জো ক্লিমেন্ট ও ম্যাট মাইলসের মতামত, প্রযুক্তির ব্যবহারকে উপেক্ষা করা যাবে না। তবে বিশেষ নজরদারির মধ্যে শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দিতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষা অর্জনের বিশেষ পন্থা হিসেবে, যেমনটা বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সূত্র: গ্যাজেটস নাউ