
ছবিঃ সংগৃহীত
বাবা-মা জীবিত থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে হজে পাঠানো জায়েজ কি না, এ নিয়ে অনেকের মাঝে দ্বিধা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইসলামিক স্কলার ও জনপ্রিয় ধর্মীয় বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন।
এক ভিডিও বয়ানে তিনি বলেন, "বাবা-মা বেঁচে আছেন, আপনি আপনার স্ত্রীকে হজে নিয়ে গেছেন—এটা কি ভালো করেছেন না খারাপ? অনেকে বলেন খারাপ করেছেন। মাশাআল্লাহ, আমাদের দেশে ঘরে ঘরে মুফতি আছে, আবার ঘরে ঘরে ডাক্তারও আছেন। অসুখ হলে যেমন সবাই চিকিৎসা দেন, তেমনি মাসআলা বলার ক্ষেত্রেও অভাব নেই।"
শায়খ আহমাদুল্লাহ স্পষ্ট করে বলেন, হজ একটি ফরজ ইবাদত। যার আর্থিক সামর্থ্য আছে, তার উপরেই হজ ফরজ। এটি স্ত্রী বা বাবা-মায়ের উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, "নিজের টাকায় কাউকে হজ করানো কখনো ফরজ হয় না—সেটা বাবা-মা হোক বা স্ত্রী।"
তিনি ব্যাখ্যা করেন, যদি কেউ কাউকে নফল হজ করাতে চান, তাহলে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি আসে। তখন প্রথম প্রাধান্য হবে বাবা-মাকে, তারপর স্ত্রী। তবে এই প্রাধান্যের প্রশ্ন আসে তখনই, যখন নিজের ফরজ হজ আদায় হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, "আমাদের দেশে অনেক সময় দেখা যায়, ছেলে নিজে হজে গেলে সমালোচনা হয়—‘বাপ-মা বেঁচে থাকতে নিজে হজে গেছে!’ কিন্তু প্রশ্ন হলো, হজ তো যার সামর্থ্য আছে, তার উপর ফরজ। ছেলের টাকা হয়েছে, ছেলের ওপর হজ ফরজ হয়েছে। বাবা-মার টাকা নেই, তাদের ওপর হজ ফরজ না। এটা সম্মানের বিষয় না, ফরজ আদায়ের বিষয়।"
শেষ কথায় তিনি বলেন, ফরজ হজ আগে আদায় করতে হবে। তারপর কারো জন্য নফল হজ করানোর কথা ভাবা যাবে।
ইমরান